সম্পাদক সমীপেষু: গ্রেট সরকার!

Advertisement
শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯ ০০:০৬
Share:

পুস্তক পরিচয়ে প্রকাশিত ‘আ ম্যাজিক্যাল হিস্টরি অব ইন্ডিয়া’ (১৭-৩) পড়তে পড়তে একটি ঘটনার কথা মনে পড়ল। লাস ভেগাসের এক বিখ্যাত মলের এক পাশে জাদুসামগ্রী ও জাদুর বইয়ের একাধিক স্টল রয়েছে। আমার ৫/৬ বছরের নাতি এক জন ম্যাজিশিয়ান। অবশ্য কোনও কিছু ভ্যানিশ করবার সময় অন্য দিকে তাকাতে বলত। একটি স্টলে ম্যাজিকের বই পছন্দ করতে করতে আমার সঙ্গে ইংরেজি-বাংলা মিশিয়ে সে কথা বলছে দেখে, কাউন্টারের ভদ্রলোকটি আমায় জিজ্ঞস করলেন, কোন দেশ থেকে আসছি। উত্তরে ‘কলকাতা’ বলায়, সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘‘ও! ফ্রম দ্য সিটি অব গ্রেট সরকার! ইউ শুড বি প্রাউড!’’ বলে আমার সঙ্গে খুব জোরে জোরে হ্যান্ডশেক করতে লাগলেন।

Advertisement

অশোককুমার দাস

কলকাতা-৭৮

Advertisement

বেতন নেই

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা’ (আরকেভিওয়াই)-এর অধীনে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৭০টির মতো মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক (এমভিসি) চালানো হয়। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে, যেখানে এখনও সরকারি পশুচিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছয়নি, সেখানে এই মোবাইল ক্লিনিকগুলি নিয়মিত পশুচিকিৎসা পৌঁছে দেয়। প্রতিটি এমভিসি-তে থাকেন এক জন পশুচিকিৎসক, এক জন সহায়ক ও এক জন ড্রাইভার। সকলেই চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী। এই এমভিসি স্কিম-টি কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পশুপালন ও পশুচিকিৎসা দফতর চালায়। এই এমভিসি-র কর্মীরা গত পাঁচ মাস ধরে বেতন পাননি।

শ্যামসুন্দর ঘোষ

আসানসোল

অসহায় অন্যেরা

সায়ন্তনী শূরের ‘পরিবারের দখল, রাষ্ট্রের সম্মতি’ (৭-৩) পড়লাম। যখন কোনও জওয়ান যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দেন, সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পারি, প্রয়াত সৈনিকের পরিবারে স্ত্রী, সন্তান ছাড়াও হয়তো বৃদ্ধ পিতামাতা, নিঃসহায় ভাইবোন এবং আরও কেউ কেউ তাঁর রোজগারের মুখাপেক্ষী ছিলেন। আইন মোতাবেক, কেবল মৃতের বিধবা পত্নীই তাঁর পাওনাগন্ডা পাওয়ার একমাত্র দাবিদার। পরিবারের বাকিরা সহায়সম্বলহীন হলেও, পেনশন বা বকেয়া পাওনায় তাঁদের কোনও অধিকার থাকে না। তাই দরিদ্র পরিবারগুলি খানিকটা আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই পরিবারের অন্য সদস্যের সঙ্গে মৃত জওয়ানের স্ত্রীর বিয়ে দিতে চান। এটা কখনওই নীতিগত ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু পাশাপাশি প্রশ্ন থেকে যায়, অশক্ত বৃদ্ধ পিতামাতা বা সহায়হীন ভাইবোনদের কী গতি হবে? রাষ্ট্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করে বীর জওয়ানরা কি পরিবারের বাকি সদস্যদের আর্থিক নিরাপত্তা আশা করতে পারেন না? বাকি সদস্যদের ভরণপোষণের দায়িত্ব যদি রাষ্ট্র নেয়, বিধবা পত্নী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে বিরোধও এড়ানো যাবে, সৈনিকের বিধবা স্ত্রীকেও আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে দেবরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করার কথা উঠবে না।

তনয় রাউৎ

উত্তর তারাপুকুর, আগরপাড়া

গানও গেয়েছেন

প্রয়াত অভিনেতা চিন্ময় রায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘হাটে বাজারে’ ছবিতে প্লেব্যাক করেছিলেন। তপন সিংহের কথা ও সুরে গানটি: ‘আগে আগে ননদী চলে’ (সহশিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায়, মৃণাল চক্রবর্তী)।

হীরালাল শীল

কলকাতা-১২

হৈমবতী সেন

‘বাল্যবিধবা থেকে চিকিৎসক’ (রবিবাসরীয়, ৩-৩) শীর্ষক নিবন্ধে ডা. হৈমবতী সেনের জীবনচরিত আলোচনার জন্য ধন্যবাদ। আলোচনায় উল্লেখিত এই মহীয়সী নারীর বাংলায় লেখা স্মৃতিকথাটির ইংরাজি অনুবাদ করেছিলেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ তপন রায়চৌধুরী। মানবীবিদ্যা ও ইতিহাসের অধ্যাপিকা জেরাল্ডিন ফোর্বস-এর সম্পাদনায় তা প্রকাশিত হয় ২০০০ সালে। পরে আরও কিছু তথ্যসহ বইটি পুনঃপ্রকাশিত হয় ২০১১ সালে ‘বিকজ় আই অ্যাম আ উয়োম্যান’ নামে। ডা. সেনের জন্ম-সার্ধশতবর্ষ থেকে তাঁর জীবন নিয়ে বাংলায় লেখালিখি শুরু হয়েছে। জুন-জুলাই ২০১৫-য় ‘স্বাস্থ্যের বৃত্তে’ পত্রিকায় ‘বাল্যবিধবা থেকে মহিলা ডাক্তার’ শিরোনামে তাঁকে নিয়ে আলোচনা করেন ধ্রুবজ্যোতি দে। চন্দননগরের ‘আবাদভূমি’ পত্রিকার ডিসেম্বর ২০১৫ সংখ্যায় তিনিই ডা. সেনের সম্পূর্ণ জীবনী লেখেন। রচনাটি পরিমার্জনা-সহ ও সমকালীন ইতিহাস-সহ আশাদীপ প্রকাশনীর পরিবেশনায় ‘সাদা থান থেকে সাদা অ্যাপ্রন: ডা. হৈমবতী সেন-এর জীবন ও সময়’ নামে এই বছর কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। ডা. সেনের স্মৃতিকথাটির ইংরাজি অনুবাদটি থেকে ফিরতি বাংলা অনুবাদটিও প্রকাশিত হয়েছে ‘ডা. হৈমবতী সেন-এর জীবনকথা’ নামে সাহিত্য সংসদ প্রকাশনী থেকে, লেখক প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু ডা. সেনের নিজের ভাষায় লেখা স্মৃতিকথাটি আজ পর্যন্ত অপ্রকাশিত।

সিদ্ধার্থ সেন

কামারপাড়া রোড, হুগলি

নির্বাচনে ডিউটি

আমি এক জন পূর্ণ সময়ের কলেজ অধ্যাপক, প্রায় ২২ বছর অধ্যাপনার কাজে যুক্ত। আমাদের দেশে ‘নির্বাচন উৎসব’ লেগেই থাকে। পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে শুরু করে, বিধানসভা, লোকসভা নির্বাচন ছাড়াও বিভিন্ন উপনির্বাচন পর্যন্ত। বর্তমানে প্রতিটা নির্বাচনেই অধ্যাপকদের ডিউটি পড়াটা এক রকম নিয়মে পরিণত হয়েছে। প্রসঙ্গত ইলেকশন কমিশনের দুটো নির্দেশের কথায় আসি।

১) নির্দেশ নং 4G4/INST/ 2009/EPS (16/02/2010)— এখানে পরিষ্কার বলা আছে কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ (যেটা আবার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন কমিশন লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ রাখবেন) ছাড়া কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অধ্যাপককে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ডিউটি দেওয়া যাবে না।

২) নির্দেশ নং 1614(20)-SEC/IV-21/2018 (10/05/2018)— এখানে বলা আছে কোনও জুনিয়র কর্মচারীর অধীনে, কোনও সিনিয়র কর্মচারীকে নির্বাচনী ডিউটি দেওয়া যাবে না।

আমার প্রশ্ন:

ক) কোনও সুনির্দিষ্ট লিখিত কারণ ছাড়াই প্রতিটি নির্বাচনে আমাদের ডিউটি আসে কী ভাবে?

খ) তবে কি এই সব নির্দেশ কেবলমাত্র খাতায়-কলমে আছে?

গ) জুনিয়রিটি/সিনিয়রিটি/পে অব স্কেল অনুযায়ীই যদি নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত ডিউটি প্রদান করা হয়ে থাকে, তবে নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনও ডিউটি কি আমাদের মতো সিনিয়র অধ্যাপকদের পড়ার কথা?

বিশ্বজিৎ পাল

রামসদয় কলেজ, হাওড়া

নোবেল পাননি

লন্ডন ডায়েরি (১৭-৩) কলামে স্টিফেন হকিং-কে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু হকিং নোবেল পুরস্কার পাননি। তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান পর্যবেক্ষিত তথ্যের দ্বারা প্রমাণিত না হলে, তা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য মনোনীত হয় না।

দেবব্রত নন্দী

বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

ভ্রম সংশোধন

‘আজ আবহাওয়া’ শিরোনামে (শহর সংস্করণ, পৃ ১, ২০-৩) ভুল তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন