সম্পাদক সমীপেষু: বহুমুখী প্রতিভা

অরুন্ধতী দেবী মৃণালবাবুকে ‘শঙ্খবেলা’র শুটিং চলাকালীন ‘ছুটি’ ছবির নায়ক মনোনীত করেন। ‘ছুটি’ ছবিটি অরুন্ধতী দেবীর পরিচালনায় মিনার, বিজলী, ছবিঘরে মুক্তি পায় ১৯৬৭-র ১৫ এপ্রিল।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৯ ০০:০১
Share:

মৃণাল মুখোপাধ্যায় সম্বন্ধে (৮-৫) যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে তথ্য বিভ্রান্তি পেলাম।

Advertisement

১) লেখা হয়েছে, ওঁর প্রথম ছবি ‘বিলম্বিত লয়’। তা ঠিক নয়। মৃণালবাবুর প্রথম ছবি ‘শঙ্খবেলা’। এই ছবিটি ১৯৬৬-র ২০ অক্টোবর উত্তরা, পূরবী, উজ্জ্বলাতে মুক্তি পায়। ১৯৬৩ সালে মৃণালবাবু বিজলী সিনেমায় ‘নিশীথে’ দেখতে গিয়ে পরিচালক সরোজ দে-র চোখে পড়ে যান। সেই সূত্রেই ‘শঙ্খবেলা’য় অভিনয়।

২) অরুন্ধতী দেবী মৃণালবাবুকে ‘শঙ্খবেলা’র শুটিং চলাকালীন ‘ছুটি’ ছবির নায়ক মনোনীত করেন। ‘ছুটি’ ছবিটি অরুন্ধতী দেবীর পরিচালনায় মিনার, বিজলী, ছবিঘরে মুক্তি পায় ১৯৬৭-র ১৫ এপ্রিল। পরে ‘আঁধার সূর্য’ ছবিতেও মৃণালবাবু নায়ক হন— এ ছবি মুক্তি পায় ১৯৬৯-এর ২৫ জুলাই— শ্রী, প্রাচী, ইন্দিরায়। আর কোনও ছবিতে তিনি নায়ক হননি।

Advertisement

৩) কলকাতা থেকে নির্মিত হিন্দি ছবি ‘সুবহ কহিঁ, শাম কহিঁ’ (১৯৬৮)-তে মৃণালবাবু নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করেছিলেন। নায়িকা ছিলেন কল্যাণী ঘোষ ও নবাগতা অর্চনা। পরিচালক দিলীপ বসু চেষ্টা করেছিলেন কম খরচে কলকাতার শিল্পী নিয়ে হিন্দি ছবি করার। কিন্তু ‘ক্যালকাটা মুভিটোন’ স্টুডিয়োতে কয়েক দিনের শুটিংয়ের পর ছবিটি বন্ধ হয়ে যায়।

পরে মৃণালবাবু মুম্বই চলে যান। তিনি জামশেদপুরের ছেলে, ভাল হিন্দি বলতে পারতেন। সেখানে বহু হিন্দি ছবিতে তাঁকে পার্শ্বচরিত্রে দেখা যেতে থাকে। উল্লেখযোগ্য ছবি তপন সিংহের ‘জ়িন্দগি জ়িন্দগি’ (১৯৭২), গুলজারের ‘মৌসম’ (১৯৭৬), শক্তি সামন্তের ‘অনুরোধ’ (১৯৭৭) প্রভৃতি।

৪) তিনি প্রথমে গ্রুপ থিয়েটারে অভিনয় শুরু করেন। ‘রঙ্গসভা’, ‘মাস থিয়েটার্স’, ‘সাজঘর’ প্রভৃতি দলে পীযূষ বসু, জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়, সলিল সেনের শিক্ষালাভ করেন। পরে ১৯৬৯ সালে কাশী বিশ্বনাথ মঞ্চে ‘নটী বিনোদিনী’ নাটকে অভিনয় করেন। সহশিল্পী ছিলেন জহর গঙ্গোপাধ্যায়, কেতকী দত্ত।

৫) মৃণালবাবু সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বহু অনুষ্ঠান করেছেন। ‘এখনই’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘বন্ধু তোমার আসার আশাতে’ এবং ‘রাত কেন তন্দ্রাহারা’ রীতিমতো হিট গান। তিনি দীপালি নাগের ছাত্র ছিলেন। ‘নটী বিনোদিনী’ নাটকে অনিল বাগচীর সুরে রাগাশ্রয়ী গান অসামান্য দক্ষতায় গেয়েছিলেন।

শ্রীশঙ্কর ভট্টাচার্য

কলকাতা-৩৯

সম্পত্তি নয়

অদ্ভুত একটি বাক্যবন্ধ তৈরি হয়েছে— ‘বামের ভোট রামে গিয়েছে।’ মানে, সিপিএমের ভোট গিয়েছে বিজেপিতে। জনসাধারণের প্রতি কতটা অশ্রদ্ধা থাকলে এমন কথা বলা যায়? জনগণের ভোট কি কেউ কিনে রেখেছে? জনগণ কি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জমিদারির খাস প্রজা যে, তারা একটি নির্দিষ্ট দলকে সর্বদা ভোট দিয়ে যাবে? ১৯৭৭, ২০০৯, ২০১১ সালে রাজ্যে যে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছিল, তার ফলে যে-দলগুলি রাজনৈতিক ক্ষমতা পেয়েছিল, তারা কি তখন নতুন এক দল ভোটার সৃষ্টি করে ক্ষমতায় এসেছিল? সময়ে সময়ে মানুষের মনোভাবের পরিবর্তন হয় বলেই রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়। রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীরা কোনও দলের সম্পত্তি বলে বিবেচিত হোন তাতে আপত্তি নেই, কিন্তু সাধারণ মানুষকে সম্পত্তি বা ভোটব্যাঙ্ক ভাববেন না।

প্রিয়ব্রত মুখোপাধ্যায়

নিকুঞ্জপুর, বাঁকুড়া

মানুষের রায়

তৃণমূলের পরাজয়ের জন্য নাকি দায়ী সিপিএমের ভোট, তাদের ভোট নাকি চলে গিয়েছে বিজেপিতে। এত দিন তো তৃণমূল বলত, সিপিএমের অস্তিত্বই আর নেই, তাদের নাকি দূরবিন দিয়ে দেখতে হবে! এখন তা হলে সিপিএমের ভোট এল কোথা থেকে? আসলে এ হল নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর স্বভাব। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি, এ বার লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে জবাব দিয়েছেন।

সুভাষ মুখোপাধ্যায়

ধুবুলিয়া, নদিয়া

পাহাড়ি ‘ফল’

পাহাড়ে অাজ পর্যন্ত রাজ্য সরকার কর্তৃক যতগুলি ‘উন্নয়ন পর্ষদ’ ও ‘সরকারি কমিটি’ গঠিত হয়েছে, তার চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সবই সরকার মনোনীত। এমনকি খোদ ‘জিটিএ’তেও কোনও নির্বাচন হয়নি! জনসাধারণের মতামত না নিয়েই এ ভাবে কিছু লোককে মসনদে বসিয়ে দেওয়াটা, মেনে নিতে পারেননি পাহাড়ের গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন মানুষ। তারই পরিণতি পাহাড়ে লোকসভা নির্বাচন ও বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল। রাজ্যের ‘পাহাড় নীতি’র বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে।

সাবির চাঁদ

রেজিনগর, মুর্শিদাবাদ

অযোগ্য

২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো ঠিক করার উদ্দেশ্যে বেতন কমিশন গঠিত হয়েছিল। প্রায় চার বছর হতে চলল, কমিশন এখনও প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করে উঠতে পারল না। এত দিন ধরে কমিশন তা হলে কী করল? এটাও তো সরকারি কাজ। দফতর আছে, প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো আছে, কর্মচারী আছেন। এঁদের কাজের হিসেব নেওয়ার কি কেউ নেই সরকারে! কাজটা না পারলে হাত তুলে দিলেও তো কমিশনের পিছনে রোজকার খরচটা বাঁচে, তার সুফলও জনসাধারণ পেতে পারেন অন্য কোনও ভাবে।

সৌম্যেন্দ্রনাথ জানা

কলকাতা-১৫৪

ডাক্তার নেই

বাদুড়িয়া (রুদ্রপুর) গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শয্যাসংখ্যা ১০০টি। আশেপাশের অনেক গ্রামকে ঘিরেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। সাকুল্যে মাত্র ছ’জন ডাক্তারবাবু নিয়োজিত। বেশির ভাগ সময়েই দেখা যায়, এক জন ডাক্তারবাবু আউটডোর করছেন এবং তিনিই জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন। ইমার্জেন্সি কোনও রোগীর জন্য আউটডোরে থাকা ডাক্তারবাবুর জন্য অনেক ক্ষণ রোগীকে অপেক্ষা করতে হয়।

সুখেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী

রুদ্রপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

বেনজির

‘আফ্রিদির বিশ্বরেকর্ড কাড়া হতে পারে’ (৭-৫) পড়লাম। আফ্রিদি আত্মজীবনীতে নিজের বয়স লুকানোর কথা স্বীকার করে সঠিক কাজই করেছেন। এর জন্য বিশ্বরেকর্ড কাড়ার পাশাপাশি তাঁর পিঠটাও চাপড়ানো প্রয়োজন। দেরিতে হলেও কঠিন সত্যকে মিথ্যের মোড়কে ঢাকেননি। এই দৃষ্টান্ত বেনজির।

হীরালাল শীল

কলকাতা-১২

আরও আশ্চর্য

‘আশ্চর্য গল্প’ (৩০-৪) চিঠির প্রেক্ষিতে আমার স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সাংবাদিক বাবার মুখে শোনা কিছু কথা বলি। কংগ্রেস প্রার্থী পণ্ডিত রেজাউল করিম সেই নির্বাচনী সভায় বলেছিলেন ‘‘যদি মানুষ হিসেবে ভোট দিতে চান তবে আরএসপি-র ত্রিদিববাবুকে দিন, আর পার্টি হিসেবে দিলে কংগ্রেসকে ভোট দিন।’’

শান্তভানু সেন

শ্রীপল্লি, শান্তিনিকেতন

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

ভ্রম সংশোধন

‘ভোটে বদল রঙে বদল’ (২৬-৫) শীর্ষক গ্রাফিকটিতে কয়েকটি সংস্করণে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজয়ী অর্জুন সিংহকে তৃণমূলের প্রার্থী দেখানো হয়েছে। উনি বিজেপির প্রার্থী। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন