নির্বাচন কমিশন। ছবি: সংগৃহীত।
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পদক্ষেপ করল দেশের নির্বাচন কমিশন। ভেলোর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন প্রক্রিয়া আপাতত বাতিল করে দেওয়া হল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিপুল টাকা তথা উৎকোচের আদানপ্রদানের অভিযোগ উঠে এসেছিল ভেলোর থেকে। তার প্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে নির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্ত কমিশনের। এই পদক্ষেপ গোটা ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অবাধ ও স্বচ্ছ করে তুলতে পারবে কি না, সে প্রশ্নে পরে আসা যাবে। সর্বাগ্রে বলা দরকার, দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন।
তামিলনাড়ুতে ভোটের মরসুমে টাকা এবং উৎকোচের খেলা চালানোর অভিযোগ নতুন নয়। ভোটারদের হাতে নগদ টাকা তুলে দেওয়া বা টেলিভিশন দেওয়া বা কম্পিউটার-ল্যাপটপ-বাইক দেওয়া,তামিলনাড়ুতে এ আখ্যান অত্যন্ত পরিচিত। প্রবণতাটা অনেক আগেই চারিয়ে গিয়েছিল গোটা দক্ষিণ ভারতে। সম্প্রতি এ অভ্যাস উত্তর এবং পূর্ব ভারতেও শাখা-প্রশাখা বিস্তার করতে শুরু করেছে। এই অভ্যাস বা প্রবণতা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এক দিকে আমরা বলব যে, নির্বাচন হল গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব, অন্য দিকে সেই উৎসবকেই কলুষিত করার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাব— এই ভয়ঙ্কর দ্বিচারিতা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
এই জঘন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা জরুরি ছিল। যে তামিলনাড়ুতে রাজনীতি এবং উৎকোচ প্রায় সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই তামিলনাড়ুর একটা লোকসভা আসনের নির্বাচন আপাতত বাতিল করে দেওয়ার প্রতীকী তাৎপর্যও রয়েছে।
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা! ভেলোরে নির্বাচন বাতিল করল কমিশন
আবার বলছি, নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপে নির্বাচনী দুর্নীতি দেশ থেকে উঠে যাবে, এমনটা বলার সময় এখনও আসেনি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ করেছে, প্রত্যেকের উচিত সে পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো। নির্বাচনী দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর একটা বার্তা সর্বত্র পৌঁছে দিতে নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ খুব কার্যকরী হবে বলে ধরে নেওয়া যায়।