সূত্রধর: রানা মিটার। ডান দিকে, ‘উ সথিয়েন’ বা সম্রাজ্ঞী উ
বিবিসি-র রেডিয়ো ফোর’এর ঐতিহাসিক তথ্যচিত্রগুলো দুর্দান্ত। এ সপ্তাহে অক্সফোর্ডের ইতিহাসবিদ, চিন-বিশেষজ্ঞ রানা মিটার শুরু করেছেন কুড়ি পর্বের নিবন্ধ-সিরিজ, সেখানে কিছু মানুষের জীবনকাহিনির মধ্য দিয়ে ফুটে উঠবে চিনা ইতিহাস। রানা শুরু করেছেন উ সথিয়েন, সম্রাজ্ঞী উ-কে দিয়ে। চিনের দু’হাজার বছরের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র নারী, যিনি সম্রাটের আসনে বসেছিলেন। চিনে ৭৪ পর্বের একটা ‘সোপ অপেরা’ও হয়েছে তাঁকে নিয়ে, উ সেখানে নারীবাদের আইকন। সম্রাটের উপপত্নী থেকে স্ত্রী হয়েছিলেন তিনি, পরে সম্রাজ্ঞী! ৬৬০-৭০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দেশ শাসন করেছিলেন, বিরোধী শক্তির অপসারণে ছিলেন নির্দয়। চিনের সীমান্ত দৃঢ় করেছিলেন, বৌদ্ধধর্মকে দিয়েছিলেন মান্যতা। অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে আছেন কনফুসিয়াস, চিয়াং কাইশেক। রানা বলেছেন, ‘‘সব ব্যক্তিত্বই যে পরিচিত হবেন, তা নয়। উঠে আসবেন কিছু দরিদ্র, অখ্যাত মানুষও, যাঁদের ত্যাগ ও অবদান চিনকে এক মহাশক্তিধর রাষ্ট্র করে তুলেছে।’’
বিয়ের উপহার
রাজকুমার হ্যারি আর মেগান মার্কল-এর বিয়ে ১৯ মে। আমন্ত্রিত অতিথিদের ওঁরা বলছেন, ‘‘কোনও উপহার চাই না। বরং সাতখানা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের নাম বলছি, তার কোনও একটায় দান করুন।’’ তালিকায় আছে মুম্বইয়ের ‘ময়না মহিলা ফাউন্ডেশন’, মহানগরের বস্তিতে থাকা মেয়েদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কাজ করে এই সংস্থা। বাড়ির কাছে কোথাও থিতু কাজের সংস্থান করা, স্বল্পমূল্যে স্যানিটারি প্যাড তৈরি ও বিলি করে ঋতুকালীন মহিলাদের বদ্ধমূল ভুল ধারণা ভাঙার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে চলেছে ওরা। সঙ্গে চলে পড়াশোনাও— অঙ্ক, ইংরেজি, এমনকী আত্মরক্ষারও পাঠ। হ্যারি-মেগান ওদের বেছে নেওয়ায় ওরা খুব খুশি।
রানি ও ডেভিড
আগামী সপ্তাহে লন্ডনে শুরু হচ্ছে ‘দ্য কমনওয়েলথ হেডস অব গভর্নমেন্ট মিটিং’। ৯১ বছর বয়সি রানি তাঁর বন্ধু স্যর ডেভিড অ্যাটেনবরোর সঙ্গে শুরু করছেন ‘কুইন্স কমনওয়েলথ ক্যানপি’ নামের পরিবেশ সংক্রান্ত এক প্রকল্প। এই প্রকল্পে জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব এড়াতে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলিতে গাছ লাগানো হবে, অরণ্য রক্ষা করা হবে। অ্যাটেনবরো প্রাসাদে এসেছিলেন ‘কুইন্স গ্রিন প্ল্যানেট’ তথ্যচিত্রের শুটিংয়ে, আজ রাতে দেখানো হবে সেটি। এখনও পর্যন্ত ৩৫টি দেশ প্রকল্পে নাম লিখিয়েছে। তথ্যচিত্রে রানি ও তাঁর বন্ধুকে মজা করতে দেখা গিয়েছে, প্রাসাদ চত্বরে একটা শীর্ণ গাছকে দেখিয়ে রানি বলছেন, ‘‘ওকে দেখো না। গার্ডেন পার্টিতে কেউ বোধ হয় ওর ওপরেই চড়ে বসেছিল!’’
মরণের পরে
দৃষ্টান্ত: ‘টেস’ চরিত্রে জেমা আর্থারটন
টমাস হার্ডির উপন্যাস ‘টেস অব দ্য ডার্বারভিল্স’-এর চরিত্র ‘টেস’-এর অনুপ্রেরণা তিনি, মার্থা ব্রাউন। স্বামীকে হত্যার অপরাধে ১৮৫৬ সালে ডরচেস্টার কারাগারে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয় মার্থাকে। হার্ডি তখন বছর ষোলোর এক শিক্ষানবিশ-স্থপতি, সে দিন দর্শকের ভিড়ে ছিলেন তিনিও। সন্ধের অন্ধকারে ফাঁসিতে ঝোলা সেই মৃতদেহ তাঁকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। ১৮৯২-এ লেখেন ‘টেস অব দ্য ডার্বারভিল্স’, সেখানে টেসকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় অ্যালেক্স ডার্বারভিলকে খুনের অপরাধে, যে তাঁকে ধর্ষণ করেছিল। ‘টমাস হার্ডি সোসাইটি’র সভাপতি, লেখক-চলচ্চিত্রকার লর্ড জুলিয়ান ফেলোজ়-এর সাম্প্রতিক প্রচারের পর সিদ্ধান্ত, মার্থার দেহাবশেষ খুঁড়ে ফের সমাধিস্থ করা হবে। জুলিয়ানের ইচ্ছে, তা সমাধিস্থ হোক ওয়েস্ট স্ট্যাফোর্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রু’জ চার্চে, যেখানে উপন্যাসের চরিত্র অ্যাঞ্জেল আর টেস বিয়ে করেছিল। অনেকে অবশ্য চাইছেন দেহাবশেষ সমাধিস্থ হোক ডরসেটের সেন্ট মাইকেল’স চার্চে, যেখানে হার্ডির হৃৎপিণ্ড সমাধিস্থ আছে।
‘রানিমা’র ফ্রিজ
বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র পুরনো হয়ে গেলে ফেলে দেন অনেকেই। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মা— ২০০২ সালে ১০১ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন যিনি— তিনি কিন্তু ফেলতেন না। স্কটল্যান্ডের ‘কাস্ল অব মে’-তে তাঁর ফ্রিজটির বয়স হল ৬৪! ১৯৫৪ সালে সেটি কিনেছিলেন ‘কুইন মাদার’। সদ্য একটা ‘ইলেকট্রিক টেস্ট’ দিব্যি উতরে যাওয়ার পর এটাই এখন দেশের সবচেয়ে পুরনো সক্রিয় ফ্রিজ। লোকে ভিড় করে দেখতে আসছে!