ছুটেই চলেছে নরমেধের ঘোড়া, শবের পাহাড় জমে উঠছে যেন!

সফরটা শেষ হচ্ছে না কিছুতেই। রক্তাক্ত রাস্তাটার কোনও প্রান্ত দেখা যাচ্ছে না এখনও। মুম্বই, হায়দরাবাদ, দিল্লি, জয়পুর, পঠানকোট, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, কাবুল, উরি, ইসলামাবাদ, মুলতান, পেশোয়ার, কোয়েটা— আরও অনেক! উপমহাদেশের একের পর এক নগর, শহর, জনপদ পিছনে ফেলে নরমেধ যজ্ঞের ঘোড়া ছুটে চলেছে, ছুটেই চলেছে।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০২:২৫
Share:

হামলার পর।

সফরটা শেষ হচ্ছে না কিছুতেই। রক্তাক্ত রাস্তাটার কোনও প্রান্ত দেখা যাচ্ছে না এখনও। মুম্বই, হায়দরাবাদ, দিল্লি, জয়পুর, পঠানকোট, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, কাবুল, উরি, ইসলামাবাদ, মুলতান, পেশোয়ার, কোয়েটা— আরও অনেক! উপমহাদেশের একের পর এক নগর, শহর, জনপদ পিছনে ফেলে নরমেধ যজ্ঞের ঘোড়া ছুটে চলেছে, ছুটেই চলেছে। পথের দু’পাশে অসংখ্য শব ফেলে যাচ্ছে, আর্তনাদ-হাহাকার ছড়িয়ে যাচ্ছে, রেখে যাচ্ছে গভীর সব ক্ষতস্থান।

Advertisement

নরমেধের এই ঘোড়া আর কত দূর ছুটতে চায়? উত্তর মেলে না। নরমেধের ঘোড়াটা ঠিক কোন দিশায় এগোচ্ছে? গন্তব্য কী? কোথায় পৌঁছতে চায়? উত্তর মেলে না।

মঙ্গলবার আবার রক্তাক্ত হয়েছে পাকিস্তানের কোয়েটা। কয়েক মাস আগে আইনজীবীদের নরমেধ হয়েছিল এই শহরেই। এ দিন হল পুলিশের নরমেধ। শবের পাহাড় জমে উঠছে যেন!

Advertisement

ভারতের হৃদয় আজ পাকিস্তানের পাশে। সন্ত্রাসের এই জঘন্য থাবা কতটা বেদনার, তা ভারতবাসীর চেয়ে ভাল কে-ই বা জানেন। কী মারাত্মক বেদনার প্রহর কাটছে সীমান্তের ও পারে, তার গভীরতম উপলব্ধি ভারতে ছাড়া আর কোথায়ই বা সম্ভব?

কিন্তু এ সময়টা মাথা নোয়ানোর নয়, ভেঙে পড়ারও নয়। ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। সন্ত্রাসের ঘোড়াটার লাগামে হেঁচকা টানটা দেওয়ার সময়। এই বিপন্ন প্রহরে পাকিস্তান কি বুঝতে পারছে সে কথা?

সন্ত্রাস দেশ বোঝে না, জাতি বোঝে না, সীমান্ত বোঝে না। সন্ত্রাস শুধু রক্তের ভাষায় কথা বলে, শুধু শবের পদচিহ্ন রেখে যায়, শুধু অজস্র-অগণিত নিরীহ-নিরপরাধের আর্তরব শুনিয়ে যায়। ভারত এই কুৎসিততম অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা— বদ্ধপরিকর এই উপমহাদেশের প্রতিটি দেশ। কাঁধে কাঁধ মেলাতে কি প্রস্তুত পাকিস্তান? সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে সভ্যতার আদি উৎসমুখ। সিন্ধুর উপত্যকায় এই রক্তস্রোত কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। বুঝতে হবেই ইসলামাবাদকে। নরমেধের ঘোড়াটার পথ আটকে দাঁড়াতেই হবে। কথা দিচ্ছি, সঙ্গে থাকব আমরা সবাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন