যুদ্ধের জিগিরেই রয়েছে অশুভের সেই প্রাণভোমরা

নরেন্দ্র মোদীকে এখন মুখোমুখি হতে হবে নরেন্দ্র মোদীরই। নিখুঁত এক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক জঙ্গি দমনে প্রত্যাশা ও উত্তেজনার মাত্রাটাকে এমনই উচ্চ তারে নিয়ে গিয়ে বেঁধেছে, স্বাভাবিক বোধের সুরে দেশকে ফিরিয়ে আনাই এখন তাঁর কাছে বড়় চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৬ ০২:০৩
Share:

নরেন্দ্র মোদীকে এখন মুখোমুখি হতে হবে নরেন্দ্র মোদীরই। নিখুঁত এক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক জঙ্গি দমনে প্রত্যাশা ও উত্তেজনার মাত্রাটাকে এমনই উচ্চ তারে নিয়ে গিয়ে বেঁধেছে, স্বাভাবিক বোধের সুরে দেশকে ফিরিয়ে আনাই এখন তাঁর কাছে বড়় চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

সেটা সবচেয়ে বেশি বুঝছেন মোদী স্বয়ং। যুদ্ধের জিগির এক বিষয়, সেই জিগিরের তীব্র প্রত্যাশায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এমনকী তার ঘোষণাও এক বিষয়, আর যুদ্ধ যে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মাত্রার ভিন্ন প্রান্তর, তা বোঝেন তিনি। আমরা বুঝছি তো? দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের যুদ্ধ হলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাটা কী হতে পারে, আন্দাজ আছে তো আমাদের? তিনটি নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত গবেষণার ভিত্তিতে যে রিপোর্ট উঠে আসছে, তা কিন্তু উদ্বেগজনক। বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধের সুদূরপ্রসারী প্রভাব যে কতটা মারাত্মক, তা একসঙ্গে দেখতে না পাওয়া গেলে আন্দাজ পাওয়া মুশকিল। মুশকিল বলেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে যুদ্ধোন্মাদনা, সেখানে আবেগের অতিশয় যতটা আছে, যুক্তির থেকে দূরত্বও আছে ততটা।

দেবীপক্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পক্ষেই তো অশুভদলনীর আবাহন, বোধন এবং পুজো। অশুভের বিরুদ্ধে শুভ জয়ী হোক। অসুরের নিধন হোক। তার আগে শুধু আমরা বুঝতে শিখি, অশুভের প্রাণ ভোমরাটা কোথায় লুকিয়ে।

Advertisement

যুদ্ধের জিগিরে সেই প্রাণভোমরা। বুঝছি তো আমরা?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement