News Letter

ক্ষতিটা কিন্তু বাংলারই হল

বাংলার সঙ্গে কেন্দ্রের টানাপড়েনের ঐতিহ্য অবশ্য ইতিহাসেই রয়েছে। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা বা বৈষম্যের যে অভিযোগ বহু বছর ধরে চর্চিত, কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেই অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট রয়েছে।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৩৬
Share:

রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। ছবি: পিটিআই

বাংলার সঙ্গে কেন্দ্রের টানাপড়েনের ঐতিহ্য অবশ্য ইতিহাসেই রয়েছে। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা বা বৈষম্যের যে অভিযোগ বহু বছর ধরে চর্চিত, কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেই অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এই অভিযোগ অনর্থক আবেগ এবং বিভ্রান্তিজনিত। রাজনীতি যে সেই অনর্থক আবেগকে কাজে লাগাতে ভালবাসবে, অনেক রাজনীতিকই যে বিভ্রান্তির সুযোগ নিতে চাইবেন, এ কোনও বিস্ময়কর বিষয় নয়। বাম আমলেও রাজ্য সরকারের নানা ব্যর্থতা ঢাকতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগার অভ্যাস ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামেদের রেখে যাওয়া সেই জুতোতেই পা গলিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থ যদি প্রশাসনিক দায় বদ্ধতার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, তাহলে পরিস্থিতিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিতেই হয়।

Advertisement

বঞ্চনা বা বৈষম্য যদি থেকেও থাকে, তা হলেও নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে দূরে সরে থাকা যায় না। বরং সেখানে উপস্থিত হয়ে বাংলার দাবি দাওয়া আরও বেশি করে তুলে ধরাই কর্তব্য ছিল। যুক্তিরাষ্ট্রীয় কাঠামো যতটা সুযোগ দেয়, তার পুরোটাকেই কাজে লাগানো জরুরি। নীতি আয়োগের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার বৈঠকের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আদৌ কোনও বার্তা দিতে পারলেন কি না জানা নেই। কিন্তু বাংলার কোনও উপকার যে এতে হল না, তা বুঝতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন