প্রতীকী চিত্র।
চাকরিহারাদের পুরনো চাকরিতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রায় একমাস পরও শুরু করা যায়নি মাদ্রাসা শিক্ষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
২০১৬ এসএলএসটি প্যানেল বাতিল হওয়ায় প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক— আগে যে স্কুলে পড়াতেন চাকরিহারা কোনও শিক্ষক, তাঁকে সেখানেই ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক প্রার্থীই তাঁদের পুরনো কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে ২৫৬ জন ‘যোগ্য’ চাকরিহারা আগে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। তাঁদের পুরনো চাকরিতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহেও।
সুপ্রিম কোর্টের ওই ২৫৬ জনের মাদ্রাসা শিক্ষকতায় ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু তাঁদের নিয়োগ নিয়ে মাদ্রাসা কমিশনের তরফ থেকে এখনও কোনও পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তাই দুশ্চিন্তার প্রহর গুণছেন মাদ্রাসার শিক্ষকেরা। বিকাশ ভবন, মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন সমস্ত দফতরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নথি নিয়ে।
২০১৬ সালের আগে নবম দশম শ্রেণিতে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করাত মোর্তাজা আহমেদ। তিনি বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসি ইতিমধ্যে নিয়োগ শুরু করেছে। শিক্ষাগত ছাড়া অন্য দফতরে যাঁরা চাকরি করতেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই ফিরে গিয়েছেন। মাদ্রাসার ক্ষেত্রে সেই নির্দেশিকা এখনও জারি করেনি কমিশন।” তাঁর দাবি, সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হলে, তাঁরা আর পুরনো চাকরিতে ফিরতে পারবেন না।
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, ২৬৪ জন মাদ্রাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে ৮ জন ‘অযোগ্য’ ছিলেন। ২৫৬ জনকে পুরনো চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ায় কোনও বাঁধা নেই। এ কথা মাদ্রাসা কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রায় মাসখানেক আগে। এর পর যা করার তা মাদ্রাসা পর্ষদই করবে বলে দাবি দফতরের।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রার্থীর আবেদনের তার তিন মাসের মধ্যে তাঁদের পুরনো চাকরিতে ফেরাতে হবে। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে চেয়ারম্যান পি ডি সেলিম বলেন, “নভেম্বরের ২৬ ও ২৭ তারিখ ওদের কাউন্সেলিংয়ের হবে। যে মাদ্রাসায় শূন্যপদ রয়েছে, সেখান থেকে বেছে নিতে পারবেন।”