ছবি: সংগৃহীত।
‘রিভিউ পিটিশনের আগে চাকরির পরীক্ষার ফর্ম পূরণ নয়’। এই মর্মে বিকাশ ভবন অভিযান, ধর্না অবস্থান থেকে অনশন পর্যন্ত করেছিলেন ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এ বার সেই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নেতারাই আবেদন করলেন ২০২৫ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) পরীক্ষায় বসার জন্য। পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করলেন মেহবুব, চিন্ময়রা। ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৮৯ শতাংশ আবেদন করেছেন।
‘যোগ্য’ ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক অমিত রঞ্জন ভুঁইয়া চাকরি হারিয়ে কলকাতা ডিআই অফিসে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। প্রথম থেকেই এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ হিসেবে পরিচিত তিনি। অমিত বলেন, ‘‘আমরা আমাদের দাবি থেকে সরিনি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য করেছে আবেদন করতে। আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠি থেকে লাথি, সব কিছু সহ্য করতে হয়েছে।’’
২১ জুলাই রাত ১১:৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে আবেদনপ্রক্রিয়া। সেখানে দেখা যাচ্ছে মোট ৫ লক্ষ ৮৪ হাজারের মতো পরীক্ষার্থী ফর্ম পূরণ করেছেন। যার মধ্যে নবম-দশমে আবেদন করেছেন তিন লক্ষ ৩০ হাজার মতো পরীক্ষার্থী। একাদশ-দ্বাদশে আবেদন করেছেন দু’লক্ষ ৫৪ হাজার পরীক্ষার্থী।
এসএসসি-র তরফ থেকে ‘যোগ্য’দের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে ১৫,৪০৩ জনের নাম উল্লেখ ছিল। পরে এসসসি-র তরফে আদালতে ১,৮০১ জন ‘অযোগ্য’-এর নথি জমা দেওয়া হয়েছিল। এসএসসি-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ফর্ম পূরণ করলেন ১৩,৭০০ জন। অর্থাৎ ১১ শতাংশ ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা এই নয়া প্রক্রিয়ায় যোগ দেননি। প্রায় ৮৯ শতাংশ ‘যোগ্য’ প্রার্থী যোগ দিয়েছেন।
যদিও এই ১৫,৩০৩ জন ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা এখনও স্কুলে কর্মরত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁরা স্কুলে পড়াতে পারবেন। ৩ এপ্রিল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
আন্দোলনের অন্যতম নেতা মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা সকলেই ফর্ম ফিলাপ করেছি। যেহেতু ‘অযোগ্য’দের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না, তাই আমরা একধাপ এগিয়েছি। পরীক্ষা এবং ফর্ম ফিলাপ করেছি। বাকিটা শীর্ষ আদালতের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।’’
২০১৬ এসএলএসটি পরীক্ষার জন্য প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার মতো প্রার্থী আবেদন করেন। তার মধ্যে নবম-দশমে আবেদনের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৩৫ হাজার। আর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে আবেদন করেন ২ লক্ষ ৭৫ হাজার মতো।