Ban on smoking

স্কুল প্রাঙ্গণে ধূমপানে নিষেধাজ্ঞা শিক্ষা সংসদের

শুধু যে সিগারেট বারণ করা হয়েছে তা নয় শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সমস্ত ই-সিগারেট গ্যাজেট বিক্রি হয় সেগুলোর বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ২১:২১
Share:

সংগৃহীত চিত্র।

শিক্ষাপ্রাঙ্গণ ও তার ১০০ মিটারের মধ্যে ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য ও ই-সিগারেট গ্যাজেট বিক্রি করা যাবে না। এই নিয়ে ফের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের সচেতন করে নির্দেশিকা পাঠাল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

Advertisement

শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “স্কুলের ভিতরে বা তার আশপাশে ধূমপান করা বা তামাকজাত দ্রব্য সেবন করা বহুদিন ধরেই নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু কোথাও কোথাও সেই নিষেধাজ্ঞায় শিথিলতা দেখা গিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনও দু-তিনটি স্কুলের মধ্যে ধূমপানের অভিযোগ এসেছিল। আমাদের মূল উদ্দেশ্য প্রধান শিক্ষকদের সচেতন করা ও তাঁরা যেন পড়ুয়াদেরও সচেতন করেন।”

শুধু যে সিগারেট বারণ করা হয়েছে তা নয় শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সমস্ত ই-সিগারেট গ্যাজেট বিক্রি হয় সেগুলোর বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষক মহল স্বাগত জানালেও সচেতনতা প্রয়োগের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

Advertisement

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, “শিক্ষা সংসদের এই সচেতনতা নির্দেশকে আমরা সমর্থন জানাচ্ছি। তবে সিগারেট থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের দূরে রাখতে গেলে খালি প্রধান শিক্ষকরা সচেতনতায় উদ্যোগী হলে হবে না। তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপণনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে প্রশাসনকে।”

শিক্ষা দফতরের আইন বিভাগের এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে। তবে শুধুমাত্র স্কুলে সচেতনতা ও প্রচার করে ধূমপানের মতন ক্ষতি কারক নেশাকে নিয়ন্ত্রণ করা স্কুলগুলির পক্ষে একা সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “আমরা শিক্ষা সংসদের এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। শুধু শিক্ষকরা সচেতন করলে হবে না, শিক্ষকদেরও সচেতন থাকতে হবে ধূমপানের ক্ষেত্রে। তবেই নতুন প্রজন্ম এই ধূমপান থেকে বিরত থাকবে। অভিভাবকদেরও পড়ুয়াদের ধূমপানের নেশা থেকে দূরে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।”

বহুদিন ধরেই এই ধূমপান সামগ্রী স্কুলের আশপাশে যাতে বিক্রি না হয় ও যুবসমাজের মধ্যে এই নেশা না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য আইন রয়েছে। পুলিশের ভূমিকা সঠিক না হওয়ায় এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এমনটা মত শিক্ষক সংগঠনগুলির। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাষ্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “শিক্ষা সংসদের তরফে সচেতনতা মূলক বিজ্ঞপ্তি দিলে শুধু হবে না। বহুদিন ধরেই এই নিয়ে আইন রয়েছে। পুলিশের সহযোগিতা না থাকলে সরকারের সদিচ্ছা না হলে খালি বিদ্যালয়গুলির পক্ষে এটি বাস্তবায়ন করা কঠিন।”

শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, বহু শিক্ষক স্কুল প্রাঙ্গণে বা তার আশে পাশের ধূমপান করে থাকেন। এই সচেতনতা মূলক নির্দেশের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছেও বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তাঁরাও যেন শিক্ষাঙ্গনে ও তার আশপাশে ধূমপান থেকে বিরত থাকেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন