— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আসল দামের চেয়ে কমেই পাওয়া যাচ্ছে এনসিইআরটি-র পাঠ্যবই! কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন, সেগুলি ভুয়ো। ক্রেতাদের তরফে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই পড়ুয়া, অভিভাবক এবং স্কুলগুলিকে সতর্ক করল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)।
বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত বইয়ের পাতায় এনসিইআরটি-র লোগো নেই, বাঁধাই ও পাতার মান খারাপ, ছাপায় ভুল রয়েছে সে সব বই ভুয়ো। এই ধরনের বইয়ের জন্য পড়ুয়াদের পঠনপাঠনে সমস্যা হতে পারে। তাই বই কেনার সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে।
কী ভাবে আসল-নকলে ফারাক বোঝা যাবে? এনসিইআরটি-র পাবলিকেশন বিভাগের আধিকারিক জানিয়েছেন, বইয়ের চার পাতা অন্তর সংস্থার লোগো বসানো থাকে। নির্ধারিত দামেই ওই বই কিনতে হয়। বই একবারই বাঁধানো হয়। এই সমস্ত বিষয় যদি কেনা বইতে না থাকে, তা হলে দ্রুত স্কুল বা স্থানীয় প্রোডাকশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারের সঙ্গে যোগাযাগ করতে হবে। ওই দফতর বই চেয়ে পাঠালে জমা দিতে হবে বই কেনার রসিদও। এর পর সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে তদন্ত করে সমস্যার সমাধান করা হবে।
কোথা থেকে বই কিনতে হবে, সে সম্পর্কেও বিশদ জানিয়েছে সিবিএসই। এনসিইআরটি-র ওয়েবসাইট, ওই সংস্থার স্থানীয় প্রোডাকশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার এবং সংস্থার অনুমোদনপ্রাপ্ত বইয়ের দোকান থেকেই তা কেনা যাবে। এনসিইআরটি-র পাবলিকেশন বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মোট ৬০০টি বিপণন সংস্থাকে। রাজ্যে সরকারি অনুমোদন রয়েছে, এমন দোকানের সংখ্যা ১০। তবে, এনসিইআরটি-র ওয়েবসাইট-এ দেওয়া দেশের মোট ৫৬৩টি দোকানের নাম। ফলে খানিক ধন্দ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি কর্তৃপক্ষও।