দিপান্বিতা পাল। ছবি: সংগৃহীত।
কবিতা পড়তে পছন্দ করে দীপান্বিতা পাল। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায় সে। উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম পর্বে মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম এবং সার্বিক ভাবে সম্ভাব্য চতুর্থ দক্ষিণ দিনাজপুরের এই ছাত্রী পেয়েছে ৯৮.৪২ শতাংশ নম্বর।
বংশীহারি থানা এলাকার দৌলতপুর হাই স্কুলের পড়ুয়া দিপান্বিতা। স্কুলে বরাবরের প্রথম হওয়া মেয়ে যে রাজ্যস্তরের পরীক্ষাতেও প্রথম হবে, এমনটা ভাবতেই পারেননি দিপান্বিতার বাবা-মা। ফল শুনে অবিশ্বাস্য ঠেকছিল মেয়েরও। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনের সময় নাম ঘোষণার পর তাই আপ্লুত পরিবারের সকলেই।
দিপান্বিতার বাবা-মা দু’জনেই পেশায় শিক্ষক। দৌলতপুর হাই স্কুলেই বিজ্ঞানের শিক্ষিকা মা তন্দ্রা ঘোষ। অন্য দিকে বাবা জগৎপতি পাল বেতলা রামকৃষ্ণ হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক। দুই মেয়ের মধ্যে দীপান্বিতাই বড়। সে বলেছে, “আমি খেটে পড়াশোনা করেছি। কিন্তু স্কুল শিক্ষক, গৃহশিক্ষকরা এবং বাবা-মায়ের সাহায্য ছাড়া এই ফল সম্ভব হত না।”
তন্দ্রা অবশ্য এই ফলের কৃতিত্ব মেয়েকেই দিতে চান। বলেন, “মেয়েকে কোনও দিন পড়াশোনার জন্য বলতে হয়নি। কোনও রুটিন মানত না। যখন ওর ইচ্ছে তখন মন দিয়ে পড়ত।”
চলতি বছরই প্রথম বার সেমেস্টার পদ্ধতি উচ্চ মাধ্যমিক। নানা সময় অভিযোগ ওঠে, ওএমআর শিট-এ সীমিত সময়ের মধ্যে এমসিকিউ ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু দীপান্বিতার কোনও সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছে সে। বলেছে, “ভাল করে অনুশীলন করেছি, তাই বিশেষ অসুবিধাই হয়নি।”
শুধু পড়াশোনা নয়, মেধাবী এই ছাত্রীর পছন্দ কবিতা, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতও। ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত চর্চার মধ্যে রয়েছে সে। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায় দীপান্বিতা। এরই পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে ভাবনাও তাকে নাড়া দেয়। যদি কোনও দিন সুযোগ আসে, পরিবেশ দূষণ নিয়ে গবেষণা করতে চায় সে। তবে আপাতত পাখির চোখ উচ্চ মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পর্ব।