Madhyamik 2024 Preparation Tips

দোরগোড়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষা, কঠিন অঙ্ক কষার সহজ উপায় কী? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ?

অঙ্কের ভয় কাটাতে প্রতি দিন নিয়ম করে অধ্যায় অনুযায়ী অভ্যাস করতে হবে। প্রতি দিন নিয়ম করে অভ্যাস করতে থাকলে সব ধরনের অঙ্ক করতে পারার দক্ষতা বেড়ে যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৩৯
Share:

প্রতীকী চিত্র।

২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। হাতে গোনা কয়েকটা সপ্তাহের মধ্যে অঙ্ক নিয়ে জোরকদমে অভ্যাস করে ফেলার চাপ রয়েছে। কিন্তু এই অঙ্ককে সহজ ভাবে করা যেতে পারে, এমনই কিছু উপায় বাতলে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের গণিতের শিক্ষক সমর কুমার পাইক জানিয়েছেন, কোন অঙ্কের উত্তর মিলছে আর কোন অঙ্কের উত্তর মিলছে না, তা নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা না করাই ভাল। পরীক্ষা ভাল হবে, এমনটা ভেবেই এগিয়ে যেতে হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, “আপাতত যে অঙ্কগুলো আয়ত্তে এসে গিয়েছে, সেগুলোই আরও ভাল ভাবে রপ্ত করে ফেলতে হবে। তাতে প্রতিটি ধাপে কী কী করতে হবে, তা মনে রাখতে সুবিধা হবে।”

পরীক্ষা প্রস্তুতি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয়েছিল গণিতের শিক্ষকের কাছে, তিনি কী পরামর্শ দিলেন পড়ুয়াদের, রইল সবিস্তার।

Advertisement

প্রশ্ন: পাঠ্যবই ছাড়া অন্য কোনও বইয়ের সাহায্য নিয়ে অঙ্কের চর্চা করা যেতে পারে?

সমর কুমার পাইক: পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি টেস্ট পেপারের নমুনা প্রশ্নপত্রের সাহায্যেও অঙ্কের সমাধানের অভ্যাস করতে হবে। এতে একই সূত্রের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের সমাধান করার দক্ষতা বাড়বে। একই সঙ্গে সময়ের মধ্যে কোন কোন অঙ্কের সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে, কিংবা হচ্ছে না, তা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

প্রশ্ন: কোন কোন অধ্যায়গুলি থেকে অঙ্কের অভ্যাস শুরু করা যেতে পারে?

সমর কুমার পাইক: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি অধ্যায় থেকেই অঙ্ক করতে হবে। বইয়ের প্রশ্নপত্রের পাশাপাশি, উদাহরণের অঙ্কগুলিও অভ্যাসের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়াও অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন এবং শূন্যস্থান পূরণের মতো বিষয়গুলিও নিয়মিত অভ্যাসের মধ্যে রাখতে হবে।

প্রশ্ন: জ্যামিতি, উপপাদ্য করার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন?

সমর কুমার পাইক: জ্যামিতির উপপাদ্যের ক্ষেত্রে ছবি পরিষ্কার করে আঁকতে হবে এবং পাশে প্রমাণ লিখতে হবে। সম্পাদ্য আঁকার ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে মাপ নিয়ে তবেই ছবি আঁকতে হবে। কারণ সম্পাদ্যের ক্ষেত্রে প্রতিটি ধাপ সম্পূর্ণ করার ভিত্তিতেই নম্বর দেওয়া হয়ে থাকে। ত্রিকোণমিতির ক্ষেত্রেও সঠিক ভাবে ছবি আঁকার উপর নম্বর পাওয়ার সুযোগ থাকে, সে ক্ষেত্রে উন্নতি কোণ এবং অবনতি কোণ চিহ্নিত না করতে পারলে নম্বর পাওয়া যাবে না।

প্রশ্ন: পাই কিংবা বর্গমূলের মান ব্যবহার করার সময় পরীক্ষার্থীরা কোন বিষয়টি মাথায় রাখবে?

সমর কুমার পাইক: পাই কিংবা বর্গমূলের মানের ব্যবহার কঠিন সমাধানের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়। অঙ্ক সরল উপায়ে সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রেও এই মান ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই অঙ্কে পাই বা বর্গমূলের মান দেওয়া থাকলে তবেই ব্যবহার করতে হবে।

প্রশ্ন: প্রশ্নপত্রের নম্বর বিভাজন কী ভাবে পড়ুয়াদের প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করতে পারে?

সমর কুমার পাইক: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠ্যবইগুলিতে নম্বর বিভাজনের তথ্য পেশ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও প্রতিটি অধ্যায় থেকে কত নম্বরের প্রশ্ন আসতে পারে, সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা থাকে। তাই পরীক্ষার আগে পাঠ্যক্রম সম্পূর্ণ হওয়ার পর নম্বর বিভাজনের উপর ভিত্তি করে শেষ মুহূর্তের জন্য ভাল ভাবে অভ্যাস করে নিলেই হবে।

প্রশ্ন: কোন কোন অঙ্কের সূত্র (ফর্মূলা) মনে রাখতেই হবে?

সমর কুমার পাইক: পরীক্ষার আগে লিখে লিখেই কিংবা মুখস্থ করে বীজগণিতের সূত্র, চক্রবৃদ্ধি সুদ, সমহারে বৃদ্ধি বা ক্ষয়, পরিমিতি, রাশিবিজ্ঞান এবং ত্রিকোনমিতির সূত্রগুলি ভাল ভাবে রপ্ত করে নিতে হবে। প্রতিটি অঙ্ক অভ্যাসের সময় মনে করে সূত্র প্রয়োগ করতে পারলেই মুশকিল আসান হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন