ভারী বৃষ্টি, ধসের কারণে বন্ধ পঠনপাঠন। ছবি: সংগৃহীত।
দুর্যোগের জেরে স্তব্ধ জনজীবন। বিপদ এড়াতে এ বার স্কুল-কলেজও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিটিএ। শনিবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে প্রকৃতির তাণ্ডবলীলায় বিপর্যস্ত হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পিং-এর একাধিক গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুলগুলিও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পড়ুয়াদের সুরক্ষার স্বার্থে পঠনপাঠন আপাতত ৮ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে।
উল্লেখ্য, দার্জিলিঙের দুধিয়া, মিরিক, তাবাকোশি, সুখিয়াপোখরি, বিজনবাড়ির মতো এলাকার একাধিক গ্রাম ধস এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণ ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সমস্ত এলাকার বেশ কিছু আবাসিক স্কুলও রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুলের আবাসিকদের অনেকেই দশমী তিথির উৎসবের জন্য বাড়িতে ফিরে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।
মিরিকের কাছে রাংভাং বস্তি গ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্কর গুরুং জানিয়েছেন, শহরের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলেও বন্ধ জলের সরবরাহ। রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেকটাই সময় লাগবে। তাই স্কুলগুলি বন্ধ রাখাই শ্রেয়।
দুর্যোগের জেরে বিপর্যস্ত কালিম্পঙের বেশ কিছু গ্রাম। সেখানকার পড়ুয়াদের সুরক্ষার স্বার্থে সমস্ত সরকারি, বেসরকারি স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেন্ট ফিলোমেনা গার্লস হাইস্কুল-সহ বেশ কিছু আবাসিক স্কুলের বাসিন্দাদের বাড়িতেও ফিরে যেতে বলা হয়েছে।
জিটিএ-এর অধীনে দার্জিলিং, কালিম্পঙে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় হাজারেরও বেশি স্কুল রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৭৭৬টি প্রাথমিক, ২৩টি উচ্চ প্রাথমিক, ৫১টি হাইস্কুল, ৭৩টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, ৫৪১টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, ৬৭টি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। পাশাপাশি, জিটিএ-র অধীনে ন’টি কলেজও রয়েছে। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান ১৩ অক্টোবর, সোমবারের আগে খুলছে না।