প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে শিলমোহর বিকাশ ভবনের। মঙ্গলবার আনন্দবাজার ডট কম-এর তরফে রাত নটা নাগাদ ৯ নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যাক্টটিং ফিন্যান্স অফিসার’- এর পদের মেয়াদ বৃদ্ধির খবর প্রকাশ করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই একমত প্রকাশ করে দীপাঞ্জন রায়চৌধুরীর মেয়াদ আরও ছ’মাস বৃদ্ধি করল উচ্চশিক্ষা দফতর। যে অস্থায়ু হিসাবে থাকবেন দীপাঞ্জন রায়চৌধুরী।
গত ১৬ জুন অস্থায়ী ফিন্যান্স অফিসারের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয় যায়। তার পর বেশ কিছু দিন ফিন্যান্স অফিসারের জায়গা শূন্য ছিল। প্রতিষ্ঠানের সহ-উপাচার্য ২ জুন ফিন্যান্স অফিসারের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য চিঠি দিয়েছিলেন শিক্ষাদফতরে। কিন্তু সেই চিঠির কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। ফলত ফিন্যান্স অফিসার পদ শূন্য হয়ে যাওয়ায় পঠন পঠন থেকে প্রশাসনিক কাজে অসুবিধা হচ্ছিল। এমতাবস্থায় ‘জুটা’ (যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সংগঠন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দাবি করেছিল স্বশাসিত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে অস্থায়ী পদেই ফের করা হোক। না হলে তাঁরা ধর্নায় বসবেন। এর পরই প্রতিষ্ঠান থেকে পুনরায় অস্থায়ী হিসাবে দীপাঞ্জনকে ফিন্যান্স অফিসার পদে নিযুক্ত করা হল।
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “বিকাশ ভবন ইচ্ছে করে এই পদটি এতদিন পর্যন্ত ফাঁকা রেখে দিয়েছিল। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের চাপে পড়ে নাম ঘোষণা বা মেয়াদ বৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ জটে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। রেজিস্ট্রার এবং ফিন্যান্স অফিসারের পদও এতদিন ধরে সামলাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপকেরাই। এর বাইরেও একাধিক আধিকারিকের পদ শূন্য, নিয়োগ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। অস্থায়ী ফিন্যান্স অফিসার থাকলে তাও প্রশাসনিক কাজ কিছুটা এগোবে বলে মনে করছে শিক্ষক মহলের একাংশ।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে একমাত্র স্থায়ী পদাধিকারী সহ-উপাচার্য। বাকি সমস্ত পদ সামলাচ্ছেন অস্থায়ী ভাবে নিযুক্ত আধিকারিকেরা।