Presidency University Girls Hostel

প্রেসিডেন্সির ছাত্রীনিবাস লক্ষ্য করে অশালীন ইঙ্গিত! পাঁচ দিন পরও অধরা অভিযুক্ত, প্রশ্ন নিরাপত্তা নিয়ে

এক অজ্ঞাতপরিচয় মধ্যবয়স্ক পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে হস্টেল সুপারের বিরুদ্ধেও।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:১৯
Share:

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাসের আবাসিকেরা ঘটনার জেরে আতঙ্কিত। ছবি: সংগৃহীত।

ছাত্রীদের প্রতি অশালীন ইঙ্গিত, আলো ফেলে বিরক্ত করার অভিযোগ উঠল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাসে। ঘটনাটি গত ১১ নভেম্বরের। এক অজ্ঞাতপরিচয় মধ্যবয়স্ক পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পুলিশে। যদিও এ বিষয়ে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে হস্টেল সুপারের বিরুদ্ধেও।

Advertisement

আবাসিক ছাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের কথা শুনেও তৎক্ষণাৎ কোনও পদক্ষেপ করেননি সুপার। উল্টে ছাত্রীদেরই চুপচাপ থাকা এবং ‘এ ধরনের ঘটনায় ইন্ধন না জোগানো’র পরামর্শ দেন। বিধাননগরের বিএফ ব্লকে রয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাস। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম বর্ষের এক আবাসিক ছাত্রী বলেন, “গত কয়েক দিন ধরেই কে বা কারা চতুর্থ তলার ঘর লক্ষ্য করে মোবাইল থেকে ফ্ল্যাশ লাইট ফেলছিল। ওটি প্রথম বর্ষের ঘর। গত ১১ নভেম্বর রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ ছাদে গল্প করছিলেন কিছু ছাত্রী। তখনই তাঁদের দেখে রাস্তায় এক ব্যক্তি হস্তমৈথুন করতে শুরু করেন।”

ছাত্রীদের দাবি, তাঁরা তখনই দৌড়ে ওই ব্যক্তিকে ধরতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নিরাপত্তার খাতিরে রক্ষীরা তাঁদের আটকে দেন। বেরোতে দেননি চত্বরের বাইরে। তবে, হস্টেল সুপারও এই বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর হননি বলে অভিযোগ। আবাসিক ছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, হোস্টেল সুপার উল্টে তাঁদের শান্ত হওয়ার কথা বলেন।

Advertisement

অনেক চেষ্টা করেও হস্টেল সুপারের বক্তব্য জানা যায়নি। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিন অফ স্টুডেন্টস অরুণ মাইতি অবশ্য বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।” পাশাপাশি তাঁরা ছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন। হস্টেল চত্বরে নজরদারি ক্যামেরা বৃদ্ধি বা সীমানাপ্রাচীর বাড়ানো প্রসঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও তিনি দাবি করেন। পুলিশি টহলদারি ওই এলাকায় আরও জোরদার করা প্রসঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় এই ছাত্রীনিবাসে মোট ১৭০ জন আবাসিক রয়েছেন। সেখানে এই মুহূর্তে ৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা। এই ঘটনার পর তা আর‌ও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রাতে বিধাননগরের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্বিগ্ন এই পরিস্থিতিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement