স্কুল স্তর থেকেই সৃজনশীলতা এবং কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি করতে পাঠ্যক্রমে বেশ কিছু বিষয় সংযোজন করতে চলেছে এনসিইআরটি। — ফাইল চিত্র।
ক্লাসরুমে বাংলা, ইংরেজির মতো সঙ্গীত, নাটক, রাজনীতি নিয়ে পড়ানো হবে। শুধু তাই নয়, বইয়ের পাতায় থাকা পড়াশোনার বিষয় স্কুল পড়ুয়ারা কতটা শিখতে পারল, তার নিয়মিত মূল্যায়নও করা হবে। সম্প্রতি ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের (এনসিইআরটি) তরফে এমন বেশ কিছু বিষয়ে পাঠ্যবইয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যা প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হবে।
২০২৫-’২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২৭৬টি বইয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে এনসিইআরটি। তাতে ভারতীয় শিল্পকলা, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, হস্তশিল্প, অভিনয়, ছবি আঁকা, সাহিত্যচর্চার মতো সৃজনশীল বিষয় যেমন রয়েছে, তেমনই রাজনীতি, গ্রাফিক ডিজ়াইন, হিউম্যান ইকোলজি, তথ্য সম্প্রচার, বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ক বইও রয়েছে।
ছবি আঁকা থেকে শুরু করে কবিতা লেখার মতো সৃজনশীল বিষয়ে স্কুলপড়ুয়াদের উৎসাহ দিতে চায় এনসিইআরটি। — ফাইল চিত্র।
এনসিইআরটি-র তরফে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে নতুন পাঠ্যক্রমও চালু করা হবে। প্রতিটি ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে হলে এই বিষয়গুলিতেও পাশ করা বাধ্যতামূলক। স্কুল স্তরের পড়ুয়াদের মনে কল্পনা, সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতেই বিভিন্ন বিষয় পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০২০ এবং ন্যাশনাল ক্যারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ফর স্কুল এডুকেশন, ২০২৩ অনুযায়ী, এই সমস্ত বইয়ের বিষয়বস্তু তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে রাজনীতি, বাদ্যযন্ত্র, পরিবেশ পরিচর্যার মতো সৃজনশীল বিষয়ের পাশাপাশি, গ্রাফিক ডিজ়াইনের মতো প্রযুক্তি এবং বৃত্তিমূলক কৌশলও যোগ করা হবে।