নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন গ্রহণ। হিসাব বলছে প্রায় ৬০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছেন। ডিসেম্বরের শেষে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর।
প্রাথমিকে শূন্য পদের সংখ্যা ১৩,৪২১। অর্থাৎ, যত প্রার্থী আবেদন করেছেন, শূন্যপদ তার থেকে অনেক কম। তাই আরও ১০ হাজার শূন্য পদ বাড়ানোর দাবি উঠেছে।
প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী বিদেশ গাজি বলেন, “শেষ বার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়ে। তার পর থেকে নতুন চাকরিপ্রার্থীরা কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেননি। তাই এত আবেদনের ভিত্তিতে শূন্যপদ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। সংবাদমাধ্যমেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।”
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় ভিডিওগ্রাফি ব্যবহার করছে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু প্রাথমিকে সে ব্যবস্থা থাকবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “আমাদের ইন্টারভিউ হবে কেন্দ্রীয় ভাবে। অর্থাৎ সকলকে সল্টলেকের অফিসে এসে ইন্টারভিউ দিতে হবে। আইনি জটিলতা এড়াতে ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
পর্ষদ সূত্রের খবর, আঞ্চলিক ভাবে ইন্টারভিউ হলে উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে সমস্ত ইন্টারভিউ ভিডিওগ্রাফি করা সম্ভব হত না। যিনি ইন্টারভিউ নেবেন তিনি পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর কাগজে লিখবেন না। সোজাসুজি অনলাইনে আপলোড করা হবে, স্বচ্ছতার জন্য।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে শেষ বার প্রাথমিক নিয়োগ হয়েছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৪ ও ২০১৭-এর টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। এরপরে ২০২২ ও ২০২৩-এর টেট উত্তীর্ণ এবং ডিএলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা এতদিনে নিয়োগে প্রক্রিয়ায় যোগদানের সুযোগ পাননি।