গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম
টেট নিয়ে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবিতে এ বার দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় যোগ দিতে চলেছেন বাংলার প্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ নভেম্বর অবস্থান বিক্ষোভের পাশাপাশি তাঁরা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও জমা দেবেন।
টেট উত্তীর্ণ না হলে চাকরি থাকবে না, প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষকদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ কার্যকর হলে কাজ হারাবেন এ রাজ্যের প্রায় ৯০ হাজারের শিক্ষক-শিক্ষিকা, সারা দেশে প্রায় ৭০ লক্ষ। বঙ্গীয় শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর সারা দেশ জুড়ে ৭০ লক্ষ শিক্ষক দিশেহারা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার নীরব। অবিলম্বে রিভিউ পিটিশন বা অর্ডিন্যান্স জারি করার দাবি করছি আমরা।”
অল ইন্ডিয়া প্রাইমারি টিচার্স ফেডারেশন এই অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ২৪ নভেম্বর। শুধু বাংলা নন, অন্য রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকারও অবস্থানে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
গত অগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ এক রায়ে নির্দেশ দিয়েছিল, সারা দেশে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকদের টেট উত্তীর্ণ হতেই হবে। পদোন্নতির জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে টেট পাশ করতে হবে। যাঁরা টেট উত্তীর্ণ নন, তাঁদের পরবর্তী দু’বছরের মধ্যে ওই পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। না হলে চাকরি ছাড়তে হবে, অথবা, চূড়ান্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরের জন্য আবেদন করতে হবে। তবে যাঁরা আগামী পাঁচ বছরে অবসর নেবেন, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এর পরেই সারা দেশে শুরু হয়েছে তৎপরতা। উত্তরপ্রদেশ সরকার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে আগেই। আবার তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য কর্মরত শিক্ষকদের জন্য আগামী বছর তিন দফায় টেট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। সে পথে হাঁটছে পশ্চিমবঙ্গও।
স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে আগেই সমস্ত শিক্ষকের নথি ও তথ্য চাওয়া হয়েছিল স্কুলগুলির কাছে। সেই রিপোর্টেই জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন যাঁরা টেট উত্তীর্ণ নন। রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের কাছে।