‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-এর মিছিল। ছবি: সংগৃহীত।
এ বার খাস কলকাতায় ধিক্কার মিছিল এবং ন্যায়বিচার যাত্রা ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-এর। প্রথমে গড়িয়াহাট থেকে যাদবপুর ৮বি পর্যন্ত ধিক্কার মিছিল। তার পর যাদবপুর বাস স্ট্যান্ডের সামনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে ধিক্কার দিবস পালন করলেন ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ন্যায় বিচারের দাবিতে আবার রাজপথ জুড়ে ধিক্কার মিছিল। একই সঙ্গে পুলিশি অত্যাচারের বিরূদ্ধে রাজ্য জুড়ে ধিক্কার মিছিল। জেলার পাশাপাশি কলকাতাতেও মিছিলের আয়োজন। বৃহস্পতিবার গড়িয়াহাট থেকে ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ধিক্কার মিছিল করেন ‘যোগ্য’রা। মিছিলে যোগদান করেন কলকাতা, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিহারারা। উপস্থিত ছিলেন বেশ কিছু শিক্ষক সংগঠন এবং অধ্যাপকেরাও। মিছিলের পর যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডে একটি পথসভার আয়োজন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা আদালতে ন্যায়বিচার পাননি। তার পরে যখনই তার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন, তাঁরা, বারংবার পুলিশ-প্রশাসনের কাছে বাধা পেয়েছেন। জুটেছে পুলিশের মারও। তাই এ বার তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। তাঁরা আর কোনও নিয়োগ-পরীক্ষায় বসবেন না। বরং তাঁদের পুনর্বহাল করতে হবে পুরনো চাকরিতে।
যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ মেহবুব মণ্ডল বলেন, “আমরা ‘যোগ্য’। আমরা ন্যায়বিচার পেতে আজ রাজপথে নেমেছি। আদালত ও সরকার উভয়ের কাছ থেকে আমরা বঞ্চিত। আমরা আর পরীক্ষা দেব না। আমাদের পুনর্বহাল করতে হবে চাকরিতে। নইলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চে’র নবান্ন অভিযান ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মিছিল শুরুর আগে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে আটক করে পুলিশ। আটক হন মূল নেতা চিন্ময় মণ্ডলও। পরবর্তী কালে তার প্রতিবাদে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে মিছিল করেন তাঁরা। কিন্তু সেই মিছিলেও পুলিশ লাঠিচার্জও করে। তার পরই ১ তারিখ ধিক্কার দিবসের ডাক দেন চাকরিহারারা। তবে ওইদিন জামাইষষ্ঠীর দিনক্ষণ পরিবর্তন করে বৃহস্পতিবার মিছিলের আয়োজন করেন।