Diploma Course

মহিলাদের স্বনির্ভর করতে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ে

শুধু এই কলেজের ছাত্রীদের নয় অন্যান্য কলেজের ছাত্রীদেরও এই পাঠক্রম করার সুযোগ করে দিয়েছে সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়। এই পাঠক্রমের জন্য পাঁচটি আধুনিক সেলাই মেশিনও কেনা হয়েছে কলেজের তরফ থেকে। সপ্তাহে দু’দিন বুধ এবং শুক্রবার দু’ঘণ্টা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৫০
Share:

সেলাই-এর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ছাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র।

মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এবার উদ্যোগী হল সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়। চালু করা হয়েছে এক বছরের জন্য সেলাইয়ের উপর ডিপ্লোমা কোর্স। যার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ডিপ্লোমা কোর্স অন বেসিক টেলারিং’।

Advertisement

শুধু এই কলেজের ছাত্রীদের নয় অন্যান্য কলেজের ছাত্রীদেরও এই পাঠক্রম করার সুযোগ করে দিয়েছে সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়। এই পাঠক্রমের জন্য পাঁচটি আধুনিক সেলাই মেশিনও কেনা হয়েছে কলেজের তরফ থেকে। সপ্তাহে দু’দিন বুধ এবং শুক্রবার দু’ঘণ্টা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

কেরিয়ার গাইডেন্স এন্ড প্লেসমেন্ট সাব-কমিটির কনভেনার সঙ্গীতা দে সরকার বলেন, “আমাদের মূল উদ্দেশ্য পড়াশোনার পাশাপাশি, ছাত্রীদের কর্মমুখী করে তোলা। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাঁরা যাতে পারিশ্রমিকও পান সেই ব্যবস্থা করা, সেলাইয়ের উপর দক্ষতা থাকলে পরবর্তীকালে নিজেরাই স্বাধীন ভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, আমরা সেটাই চাই।”

Advertisement

সম্মিলনী মহাবিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে ১৯৯৬ সালে, কলেজের বর্তমান বয়স মাত্র ২৮। এই কলেজের বেশিরভাগ পড়ুয়া আসেন কাকদ্বীপ, ক্যানিং এবং ভাঙড় এই সমস্ত জায়গা থেকে। ফলে এখানে ফার্স্ট জেনারেশন লার্নারের সংখ্যা অন্যান্য কলেজের থেকে বেশ খানিকটা বেশি। এবং আর্থিক স্বচ্ছলতাও পড়ুয়াদের অনেকটাই কম। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি মেধার সঙ্গে স্কিল ডেভেলপমেন্ট-এর মাধ্যমে এই পড়ুয়াদের কর্মমুখী করে তোলাই মূল উদ্দেশ্য, এমনটাই জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কলেজের প্রিন্সিপাল চন্দন কুমার জানা বলেন, “আমাদের কলেজে বিশেষ করে ছাত্রীরা প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে আসেন। তাঁরা যদি পড়াশোনার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেরা রোজগার করতে পারেন তাই এই ধরনের পাঠক্রম চালু করা হয়েছে।”

কর্পোরেট সোশ্যাল ফান্ডিং-এর মাধ্যমে এই পাঠক্রমটির খরচ বহন করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি, একটি ফ্যাশন ইনস্টিটিউট-এর সঙ্গেও যৌথ উদ্যোগে সেলাইয়ের যাবতীয় পাঠ্যক্রম ঠিক করা হয়েছে। মূলত এখানে শাড়ির ফলস পিকো থেকে কুশান তৈরি বা ঘর সাজানোর নানান সামগ্রী, যা সুতোর কাজের মাধ্যমে তৈরি হয়ে থাকে তা ছাত্রীদের শেখানো হয়। প্রথম দফায় ১৬ জন পড়ুয়াকে নিয়ে এই পাঠক্রমটি চালু করা হয়েছে। তার মধ্যে মগরাহাট এবং বঙ্গবাসী কলেজের এক জন করে পড়ুয়া এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

প্রশিক্ষণরত ছাত্রীরা যাতে প্রশিক্ষণের সঙ্গে অর্থ উপার্জন করতে পারেন তাঁর জন্য শাড়ির ফলস পিকো থেকে ব্লাউজ তৈরি-সহ বিভিন্ন ধরণের সেলাইয়ের কাজ শিক্ষিকারা তাঁদের দিয়ে করান এবং তার বদলে পারিশ্রমিকও দেন। এ ছাড়া কলেজের যে এনএসএস ইউনিট আছে তাদের ড্রেসের ডিজাইনও এই প্রশিক্ষণরত ছাত্রীদের দিয়ে তৈরি করানো হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

মোট ২০ থেকে ৩০ রকমের ডিজ়াইন তৈরি করানো হবে। যে ফ্যাশন ইনস্টিটিউট-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই পাঠক্রমের কাজ চালানো হচ্ছে তাঁরা এদের মধ্যে যোগ্য ছাত্রীদের ইন্টারশিপ এবং পরবর্তীকালে চাকরির ব্যবস্থাও করবে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন