SSC teacher recruitment

ডাক বিভাগের চাকরি ছেড়ে বেছে নেন শিক্ষাকতা, এখন চাকরি হারিয়ে পথে নেমেছেন মেদিনীপুরের সন্দীপ

২০১৬-তে ডাক বিভাগের চাকরি ছেড়ে যোগ দেন পূর্ব মেদিনীপুরের এক সরকারি স্কুলে। ভালই চলছিল। কিন্তু চাকরি বাতিলের খবর প্রকাশ পেতেই সন্দীপের সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৫ ১৮:৩৮
Share:

সন্দীপ রানা। নিজস্ব চিত্র।

২০১৭-এ যোগ দেন ডাক বিভাগের কাজে। পদ ছিল পিয়ন (পোস্টম্যান)-এর। কিন্তু ইচ্ছে শিক্ষকতা করবেন। সেই মতো পরীক্ষা দেওয়া, উত্তীর্ণ হয়ে মেধাতালিকা ভিত্তিতে চাকরিও পাওয়া। কিন্তু ওই! ২০১৬-র এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন)-র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। যে প্যানেল সুপ্রিম কোর্টের তরফে সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়া হয়। আর তার জেরেই ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর সঙ্গে চাকরি হারান পশ্চিম মেদিনীপুরের সন্দীপ রানা।

Advertisement

ওই জেলার দাসপুর থানা এলাকায় থাকেন সন্দীপ। বাবা, মা, স্ত্রী এবং পাঁচ বছরের সন্তান নিয়ে সংসার। ২০১৬-তে ডাক বিভাগের চাকরি ছেড়ে যোগ দেন পূর্ব মেদিনীপুরের এক সরকার পোষিত স্কুলে। ভালই চলছিল। কিন্তু চাকরি বাতিলের খবর প্রকাশ পেতেই সন্দীপের সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেল।

সন্দীপ বলেন, ‘‘আমার মতো এ রকম অনেকে রয়েছে যারা ভাল চাকরি ছেড়ে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এই চাকরিতে যুক্ত হয়েছিল। সরকারের দুর্নীতির ফলে যোগ্য শিক্ষকদের আজ রাজপথে আন্দোলন করতে হচ্ছে।’’ যদিও, কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কেউ যদি পুরনো কোনও সরকারি পদের চাকরি ছেড়ে শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দেন, তা হলে সে পুনরায় পুরনো চাকরিতে ফেরত যেতে পারবেন। এই মর্মে সন্দীপ জানিয়েছেন, তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রধান ডাক বিভাগের কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছেন। সেখান থেকে তাঁকে চাকরি ফেরত পাওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, একটা আবেদনপত্র লিখে জমা দিতে বলা হয়েছে। উচ্চ আধিকারিকের তরফ থেকে তা গ্রাহ্য হলে তবেই সন্দীপ পুরনো কাজে ফেরত যেতে পারবেন।

Advertisement

শুধু সন্দীপই নয়, তাঁর মতো আরও অনেকে রয়েছেন যারা হয়তো কোনও বেসরকারি চাকরি ছেড়েও শিক্ষকতার পেশা বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু আজ রাস্তায় আন্দোলনে নামতে হচ্ছে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement