Tablet allowance

জানুয়ারিতে হাতে আসবে ট্যাবের টাকা! ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষকদেরই

প্রায় ৬ লক্ষ পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা পড়বে ১০ হাজার টাকা। সরাসরি পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। স্কুলের প্রধানশিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই জেলা পরিদর্শকদের তরফ থেকে চিঠি এসেছে, বুধবার ভার্চুয়াল বৈঠকও হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:২৯
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম

সেপ্টেম্বরে ট্যাবের জন্য টাকা পাওয়ার কথা ছিল একাদশ শ্রেণির পডুয়াদের। কিন্তু বছর শেষেও সে টাকা পেল না তারা। জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় ট্যাব কেনার টাকা পাবে।

Advertisement

প্রায় ৬ লক্ষ পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা পড়বে ১০ হাজার টাকা। সরাসরি পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। স্কুলের প্রধানশিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই জেলা পরিদর্শকদের তরফ থেকে চিঠি এসেছে, বুধবার ভার্চুয়াল বৈঠকও হয়েছে।

নারায়ণদাস বাঙ্গুর স্কুলের প্রধানশিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “গত বছর যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল, তা রোধ করতেই এ বার ট্যাবের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে সরকার। পড়ুয়াদের একটি করে লিংক পাঠানো হচ্ছে, সেখানই যাবতীয় নথি আপলোড করতে হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে টাকা পাবে পড়ুয়ারা।” শিক্ষকদের দাবি, এ কারণেই খানিক বেশি সময় লেগেছে।

Advertisement

ইতিমধ্যে স্কুল জেলা পরিদর্শকেরা জানিয়েছেন, যে সব পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ অন্য সব নথিপত্র সঠিক বলে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানশিক্ষকেরা, তাদেরই টাকা দেবে সরকার। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত বহু ছাত্রের নামের বানানের সঙ্গে আধার কার্ড বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যে গরমিল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সে সব যাতে দ্রুত সংশোধন করা হয় তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দফতরের তরফ থেকে।

গত বছর অভিযোগ উঠেছিল, বহু পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা চলে গিয়েছে অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে। এমনকি অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ার অভিযোগও উঠেছিল।

দমদম উত্তর রবীন্দ্রনগর বিবেকানন্দ হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক অয়ন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এত দিন প্রধানশিক্ষকেরাই পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ অন্য তথ্য সরাসরি পোর্টালে আপলোড করতেন। এ বার আপলোড করার আগে সেই সব তথ্য ঠিক লেখা হল কি না, তা এক বার পড়ুয়াকে দিয়ে যাচাই করানো। এবং তাদের কাছ থেকে ‘সেল্ফ ডিক্লারেশন’ নেওয়া হচ্ছে। আমাদের স্কুলে পাঁচ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে সমস্যা রয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণেই এই বিলম্ব।” জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট এ রাজ্যের ব্যাঙ্ক শাখায় থাকতে হবে।

যদিও সে শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, সরকারি কাজের গড়িমসিতেই এই বিলম্ব। আরও আগে এই যাচাইকরণের কাজ এবং সে জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলা দরকার ছিল। তা হলে পড়ুয়াদের টাকা পেতে পাঁচ মাস দেরি হত না। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “এটা পুরোটাই নির্বাচনী চমক। পুজোর আগে এই টাকা দেওয়ার কথা। প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাইয়ের কাজ তার আগেই সেরে ফেলা উচিত ছিল সরকারের।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement