ছবি: সংগৃহীত।
পশ্চিমবঙ্গের অন্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র শংসাপত্র সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি রাজ্যের বিজ্ঞপ্তির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল হাই কোর্ট। সোমবার ওই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই উচ্চশিক্ষা দফতর অভিন্ন পোর্টালে আবেদনকারী পড়ুয়াদের জাতি শংসাপত্র আপলোড ও ভর্তির পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ করে দিতে চলেছে। মামলা বিচারাধীন থাকায় এতদিন পর্যন্ত সমস্ত পড়ুয়াকে জেনারেল ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে হচ্ছিল অভিন্ন পোর্টালের(ক্যাপ) মাধ্যমে।
২৯ তারিখ মঙ্গলবার রাত ১২ থেকে বৃহস্পতিবার ১ অগস্ট রাত ১১: ৫৯.৫৯ পর্যন্ত আবেদনকারীরা অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে তাঁদের জাতি শংসাপত্র ও ভর্তির পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবেন। এই বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের কোনও অসুবিধা হলে তাঁরা 'চ্যাটবট' বিনা এবং উচ্চশিক্ষা দফতরের দেওয়া কল সেন্টারের মাধ্যমে সাহায্য নিতে পারবেন বলে জানান হয়েছে।
উচ্চশিক্ষা দফতর স্নাতকে অভিন্ন পোর্টালের (ক্যাপ) মাধ্যমে আবেদনের দিনক্ষণ ৩০ জুলাই শেষ হচ্ছে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। শেষবার আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির ১০ দিন পর দেখা যাচ্ছে মাত্র ৮০০০ মতো নাম নথিভুক্ত হয়েছে রাজ্যের কলেজগুলিতে। ১৪ জুলাই সন্ধ্যা পর্যন্ত যে তথ্য বিকাশ ভবন দিয়েছিল তাতে দেখা যাচ্ছে, ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৯৪ জন ছাত্রছাত্রী নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। ২৫ জুলাই আরো পাঁচ দিনের সময়সীমা বৃদ্ধি করেছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত আবেদন করেছিল ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২০২ জন।
রাজ্যে এই মুহূর্তে ৪৭৭ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৭ আসন রয়েছে। ফলে বিপুল সংখ্যক আসন ফাঁকা থাকবে, তা নিয়ে একরকম নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নিয়মিত পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ২৮৬ জন। গত বছর সেই সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭৮৪ জন। তারপরও স্নাতকে ক্যাপের মাধ্যমে ভর্তি হয়েছিল ৪ লাখ ৪৪ হাজারের কিছু বেশি।