পিআরও হওয়ার উপায়। প্রতীকী ছবি।
তারকাদের কাজের খতিয়ান সাধারণ মানুষের সামনে কী ভাবে কতটা তুলে ধরা হবে তার দায়িত্ব থাকে পাবলিক রিলেশন অফিসার (পিআরও) বা জনসংযোগ আধিকারিকের উপর। তবে শুধু তারকারা নন, কোনও সরকারি বা বেসরকারি সংস্থারও জনসংযোগ আধিকারিক থাকেন। উন্নত তথ্য-প্রযুক্তির জগতে ক্রমাগত বাড়ছে এই পেশার চাহিদা। চাকরির সুযোগও যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে ভাল বেতনও। পিআরও বা জনসংযোগ আধিকারিক হয়ে ওঠার জন্য কী যোগ্যতা প্রয়োজন হয়?
কী পড়তে হয়—
পিআরও বা জনসংযোগ আধিকারিক মূলত কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার সঙ্গে গণমাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের যোগাযোগ স্থাপনের কাজ করেন। সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন নিয়ে পড়ার সময় পিআর বা জনসংযোগ বিষয়ে পড়াশোনা করতে হয়।
১) স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে।
২) দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন, ইংরেজি, অর্থনীতি বা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্নাতক হতে হবে।
স্নাতকের পর কী করণীয়—
স্নাতক হওয়ার পর পিআর হিসাবে চাকরি করা যায়, তবে পাবলিক রিলেশন বিষয়ের উপর ডিপ্লোমা বা সাংবাদিকতা বিষয়ের উপর স্নাতকোত্তর করতে পারেন শিক্ষার্থী।
বিশেষ দক্ষতা—
মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ গণমাধ্যমে কী ভাবে কাজ করা হবে, সে সংক্রান্ত ধারণা ও দক্ষতা থাকতে হয়।
যোগাযোগ ক্ষমতা, কথা বলার দক্ষতা থাকতে হয়।
কোনও বিষয়কে খুব ভাল ভাবে উপস্থাপনা করার দক্ষতাও প্রয়োজন।
কম্পিউটারের দক্ষতা প্রয়োজন। বিশেষত, এমএস অফিস সংক্রান্ত বিষয়ের উপর।
যে কোনও সঙ্কটজনক পরিস্থিতি ঠান্ডা মাথায় সামলানোর ক্ষমতা থাকতে হয়।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার বেড়েছে। তাই একজন পিআরও-কে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফে অথবা তারকার স্বার্থে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহারেও সাবলীল হতে হয়।
কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়:
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (নিউ দিল্লি), ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মাস কমিউনিকেশন (নিউ দিল্লি), এ ছাড়াও আরও অনেক প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় এই বিষয়গুলি নিয়ে।
চাকরির সুযোগ—
পাবলিক রিলেশন ম্যানেজার, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, ব্যক্তিগত সহায়ক হিসাবে নিযুক্ত হয়ে কাজ করার সুযোগ থাকে। এ ছাড়াও, কোনও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পাবলিক রিলেশন এগজিকিউটিভ হিসাবে কাজ করার সুযোগ থাকে। এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সংস্থার সুসম্পর্ক বজায় রাখা এক জন এগজিকিউটিভের কাজের মধ্যে পড়ে। পাশাপাশি, মিডিয়া রিলেশন অফিসার হিসাবে কোনও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করার সুযোগ থাকে। এ ক্ষেত্রে, সংস্থার হয়ে মিডিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হয়, মার্কেটিং ক্যাম্পেনিং-এর ব্যবস্থাও করেন মিডিয়া রিলেশন অফিসার।
সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন পড়ার সময়ই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে পাবলিক রিলেশন বিষয় নিয়ে পড়তে হয়। কেউ যদি পাবলিক রিলেশন নিয়ে স্নাতকোত্তরের পর পাবলিক রিলেশন নিয়ে পিএইচডি পড়তে চান, তা হলে সেই সুযোগও থাকে। পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অধ্যাপনাও করা যায়।