ভারতীয় সেনায় যোগ দেওয়ার চাবিকাঠি। ছবি: সংগৃহীত।
অনেক পড়ুয়ারই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা জাগে স্কুলস্তর থেকে। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন ধরনের পদ রয়েছে, সেনায় যোগ দিতে হলে কী কী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়, এই প্রতিবেদন রইল সেই সংক্রান্ত খুঁটিনাটি।
ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি—
এই অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণের পর ভারতীয় স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার আধিকারিক হওয়ার সুযোগ থাকে। এখানে ভর্তি হতে গেলে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) দ্বারা আয়োজিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। বছরে দু’বার হয় এই পরীক্ষা। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ এবং ১৬ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে বয়স হলে এই পরীক্ষায় বসা যায়। গণিত, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞানের উপর প্রশ্ন থাকে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর ইন্টারভিউয়ে উপস্থিত হতে হয়। সেখানে উত্তীর্ণ হতে পারলেই শুরু হয় প্রশিক্ষণ।
পুণের এনডি-তে তিন বছরের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারপর আরও এক বছর দেরাদুনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ চলে। এই প্রশিক্ষণই বেশ কঠিন পদ্ধতিতে দেওয়া হয়। অনেকেই মাঝপথে ছেড়ে দেন, তবে যাঁরা শেষ করতে পারেন তাঁরাই একমাত্র যোগ দিতে পারেন সেনাবাহিনীতে।
কম্বাইড ডিফেন্স সার্ভিস
স্নাতকের পর যদি কারও মনে হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন, তা হলে সেই সুযোগ রয়েছে কম্বাইড ডিফেন্স সার্ভিস-এর মাধ্যমে। ইউপিএসসি-র মাধ্যমে বছর দু’বার এই পরীক্ষা আয়োজিত হয়। উত্তীর্ণের পর ইন্টারভিউ হয়। সেখানে পাশ করলে শুরু হয় প্রশিক্ষণ। ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি, অফিসার ট্রেনিং অ্যাকাডেমি, এয়ার ফোর্স অ্যাকাডেমিএবং নেভাল অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের শেষে যোগ দেওয়া যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে।
এই দু’টি পথ ছাড়াও আর্মি ক্যাডেট কলেজ, টেকনিক্যাল এন্ট্রি স্কিম, শর্ট সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমেও যুক্ত হওয়া যায় সেনাবাহিনীর কাজে। একাগ্রতা, কঠোর অনুশীলন অতিক্রম করেই সুযোগ পাওয়া যায় ভারতীয় সেনায়।