প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ছবি: সংগৃহীত।
গত সেপ্টেম্বরে ১৩ হাজারের বেশি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার পর পেরিয়ে গিয়েছে অনেকটা সময়, শুরু হয়নি শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার দুপুরে সেই নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকের ক্ষেত্রে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ১৩,৪২১টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হলেও শুরু হয়নি আবেদন প্রক্রিয়া। প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময়ের পর অবশেষে শুরু হবে সেই প্রক্রিয়া। বুধবার অর্থাৎ ১৯ নভেম্বর অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। এর মাধ্যমে সরকার অনুমোদিত, সরকারি পোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং জুনিয়র বেসিক স্কুলগুলির জন্য সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
২০১৭ সালের পর রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে কোনও নিয়োগ হয়নি। প্রায় আট বছর প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষকতার জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করছে পর্ষদ। চলতি বছরে টেটের জন্য বরাদ্দ নম্বর এক লাফে ২০ নম্বর বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুরনো খসড়া বিধিতে টেটের বরাদ্দ নম্বর ছিল ৫। আর নতুন প্রস্তাবিত খসড়া বিধিতে সেই নম্বর বাড়িয়ে ২৫ করা হয়েছে। টেটের বরাদ্দ নম্বর বৃদ্ধি পেলেও (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (ডিএলএড)- এর নম্বর কমে হয়েছে ৫। যা আগে ছিল ১৫।
ব্রাত্য বসু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১৩,৪২১টি শূন্যপদের জন্য এই প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে।” তাঁর দাবি, চলতি বছরের মধ্যে রাজ্যে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার (এসএসসি সমেত) স্বচ্ছ নিয়োগ এবং কর্মসংস্থান হবে বলে শিক্ষা দফতর আশাবাদী।
উল্লেখ্য, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান ২০২২ সালে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, শুধু তাঁরাই নন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দেবেন ২০২৩ সালের টেট উত্তীর্ণেরাও। এমনকি, যাঁরা ২০১৪ ও ২০১৭ সালে প্রাথমিক টেট পাশ করেছেন, সেই চাকরিপ্রার্থীদেরও যোগ দেবেন।