মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শিক্ষকদের সঙ্গে বিশেষ বিষয়ে শিক্ষাদান নিয়ে আলোচনা করতে চলেছে। প্রতীকী চিত্র।
জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক। তাতেই নকল করার অভিযোগে পরীক্ষা বাতিল হয় বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর। আবার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বইয়ের পাতা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়ার ছবিও সমাজমাধ্যমে চোখের নিমিষে ছড়িয়ে পড়ে। পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিকতাকে গুরুত্ব দিতে মাধ্যমিক স্তরেই বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
নৈতিকতার পাঠ দিতে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা নিয়ে দফায় দফায় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করছে পর্ষদ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শিলিগুড়িতে প্রায় সাড়ে ৮০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় নতুন করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে আলোচনায় বসতে চাইছে পর্ষদ।
পড়ুয়াদের উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে জোর দিতে চায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নিজস্ব চিত্র।
কী নিয়ে হবে আলোচনা?
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং সমীক্ষার ভিত্তিতে লক্ষ করা গিয়েছে, স্কুল স্তরের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যেও অনেক সময় অসাধুতা, অসম প্রতিযোগিতা, পরশ্রীকাতরতার মতো নেতিবাচক স্বভাব তৈরি হচ্ছে।
কেন এই প্রবণতা তৈরি হচ্ছে? তা খতিয়ে দেখতে এবং বইয়ের বাইরে ঠিক-ভুলের ফারাক বোঝাতে স্কুল পড়ুয়াদের বিশেষ ভাবে পড়াতে হবে। তা নিয়েই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
এই বিষয়ে পর্ষদের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্কুলপড়ুয়াদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি অনুযায়ী কেমন ব্য়বহার করা উচিত, কী ভাবে আর পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলা দরকার, ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য কতটা— সবটাই শেখানোর জন্য় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রস্তুত করা হবে। তার কর্মপদ্ধতি নিয়েই দ্বিতীয় দফার আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়েই এই আলোচনা করা হবে। অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমারের পাশাপাশি, পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এবং শিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও উপস্থিত থাকবেন। আগ্রহী শিক্ষকদের স্কুল মারফত অংশগ্রহণের আবেদন জানাতে হবে।