দেহতল্লাশি ছাড়া পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারবেন না কোনও পরীক্ষার্থীই। ছবি: সংগৃহীত।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ স্কুল সার্ভিস কমিশন। ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে ‘বিশুদ্ধ’ পরীক্ষা পদ্ধতিতে এ বার কোনও ত্রুটি রাখতেই নারাজ স্বশাসিত এই সংস্থা। সদ্যই নবম-দশম শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ পরীক্ষা। আগামী রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষায় বসতে চলেছেন ২,৪৫,৫০০ পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষার ঠিক আগে পরীক্ষার্থীদের কী কী করণীয়, তা মনে করিয়ে দিয়েছে কমিশন।
১. দেহ তল্লাশির সময় অ্যাডমিট কার্ড সঙ্গে রাখা আবশ্যক।
২. অ্যাডমিট কার্ডের ছবি অস্পষ্ট থাকলে পরীক্ষার্থীদের সরকারি পরিচয়পত্র ও তার প্রতিলিপি সঙ্গে রাখতে হবে।
৩. স্বচ্ছ পেন (কালো বা নীল কালি) এবং স্বচ্ছ জলের বোতল নিয়েই শুধুমাত্র পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারবেন।
৪. সমস্ত নথি স্বচ্ছ ফাইল বা ফোল্ডারে নিয়ে আসা যাবে।
৫. এ ছাড়াও ফোন বা মূল্যবান সামগ্রী পরীক্ষার্থীর ব্যাগে থাকলে তা পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে রাখাতে হবে, সে জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকবে।
৬.পরীক্ষার্থীরা ওই কেন্দ্রের নিরাপত্তা আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে বিশেষ স্থানে ব্যাগ রাখার জন্য টোকেন সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্রের (ওএমআর শিট) প্রতিলিপি বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ৪৭৮টি কেন্দ্রে নেওয়া হবে। নবম দশমের তুলনায় পরীক্ষার্থী এবং কেন্দ্রের সংখ্যা কম হলেও নিরাপত্তায় কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না কমিশন। ৭ সেপ্টেম্বরের পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ৯১.৬২ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থীর ১০ শতাংশ ভিন্রাজ্য থেকে এসেছিলেন। তাঁদের অনেকেই জানিয়েছিলেন, এই রাজ্যের হিন্দি ও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে শিক্ষকতা করার জন্যে আবেদন করেছেন।
তবে, পরীক্ষা ব্যবস্থায় আঁটসাঁট নিরাপত্তা থাকলেও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্রের (ওএমআর শিট) প্রতিলিপি হাতে পেলেও দুনীর্তি যে হবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? এই আশঙ্কা তো থেকেই যাচ্ছে।