যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না। শনিবার রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রায় ৭ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, এ দিন নবান্ন থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের করা আবেদন মঞ্জুর করা হয়। এর আগেই যাদবপুরের দু’টি ক্যাম্পাসের জন্য ৭০ নজরদারি ক্যামেরা লাগানোর বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়েছে। গত অক্টোবরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসেন। সেখানেই উঠে আসে নজরদারি ক্যামেরা ও নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের প্রসঙ্গ। সে দিন অবশ্য, আর্থিক অনুমোদন পেয়েছিল শুধু নজরদারি ক্যামেরাই।
সেই টাকা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। চলতি মাসেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তার পরই শুরু হয়েছে আটকে থাকা কাজগুলি সেরে ফেলার প্রক্রিয়া। আধিকারিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে ইতিমধ্যেই। এ বার নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের অর্থও বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় টাকা দেওয়া নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, "নবান্নের বৈঠকের পর অর্থ দফতরের অনুমতি আসার অপেক্ষায় ছিল। সেই অনুমতি আসার পর আমরা বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়কে ও জানিয়ে দিয়েছি।"
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার স্বার্থে যাদবপুরে ৩২ জন প্রশিক্ষিত নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ বিষয়েও আলোচনা হয়েছিল সে বার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে ৭.৫১ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে স্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীর পদ রয়েছে ১৩০টি। কিন্তু কর্মরত মাত্র ৭৮ জন। শূন্য ৫২টি পদের মধ্যে রয়েছে দু’টি সুপারভাইজার পদও। ওই শূন্যপদগুলিতে অবিলম্বে কর্মী নিয়োগের দাবি উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। তা ছাড়া, বেসরকারি সংস্থা মারফত অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীরাও নিয়োগ করার প্রস্তাব এসেছিল।