ছবি: সংগৃহীত।
‘তরুণের স্বপ্নে’ প্রকল্পের আওতায় পড়ুয়াদের তথ্য যাচাইয়ের সময়সীমা বেঁধে দিল সরকার। ৩১ অগস্টের মধ্যে তথ্য যাচাই করে স্কুল শিক্ষকদের ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে আপলোড করতে হবে। কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
স্কুল শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, সরকার যে ফর্ম দিয়েছে, পড়ুয়াদের কাছে সেই ফর্ম তুলে দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়ারা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ প্রয়োজনীয় তথ্য নির্দিষ্ট ফর্মে স্কুলে জমা দিতে হবে। স্কুল সেই তথ্য যাচাই করবে।
নারায়ণ দাস বাঙ্গুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “সরকার যে ভাবে বলেছে আমরা সেই নিয়ম মেনে কাজ করছি। তবে এখনও পর্যন্ত বহু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্ট তৈরি না হওয়ায়, সমস্যা হচ্ছে। এ বছর থেকে পোর্টালের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যত বার পড়ুয়াদের তথ্য যাচাই করা হবে, তত বার প্রধান শিক্ষকদের আধার কার্ড যাচাই হবে এবং তাঁদের ফোন নম্বরে ওটিপি আসবে।”
‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, এ বার আরও সতর্ক স্কুল শিক্ষা দফতর। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ‘ট্যাব’-এর টাকা যাতে তাদের অ্যাকাউন্টেই ঢোকে, অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে চলে না যায়, তা নিশ্চিত করতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে শিক্ষা দফতর। এই টাকা পেতে গেলে পড়ুয়াদের কী কী নিয়ম মানতে হবে, তা এ বার নির্দেশিকা আকারে বিভিন্ন স্কুলে পাঠিয়েছে শিক্ষা দফতর।
পড়ুয়াদের মুচলেকা-সহ অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করার পরই তারা ১০ হাজার টাকা করে পাবে বলে জানানো হয়েছে। গত বছর রাজ্য জুড়ে বহু পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা তাদের নিজেদের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি বলে অভিযোগ উঠেছিল।
পড়ুয়াদের জন্য যে ২০ দফার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, প্রত্যেক পড়ুয়ার জন্য আলাদা আলাদা ওটিপি আসবে। অর্থাৎ একজন প্রধানশিক্ষক যদি ১৫০ জন পড়ুয়ার তথ্য আপলোড করেন তা হলে ১৫০ জন পড়ুয়ার ওটিপি আসবে। পড়ুয়ারা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রাজ্যের বাইরে কোনও শাখায় খুলতে পারবে না। প্রত্যেক পড়ুয়াকে আলাদা করে দু’টি ফর্ম পূরণ করতে হবে মুচলেকা হিসাবে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, এই দু’টি ফর্মের মধ্যে একটিতে পড়ুয়ারা তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, আধার নম্বর এবং নিজের বানান যা লিখে জমা দেবে। অপর ফর্মটিতে পড়ুয়ারা মুচলেকা হিসেবে লিখবে যে এই টাকা খালি ট্যাব বা মোবাইল কেনার জন্যই তারা ব্যবহার করবে।
পরে পড়ুয়াদের মোবাইলে মেসেজ বা ই-মেল মারফত একটি লিঙ্ক আসবে। এই লিঙ্কে ক্লিক করে পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, আধার নম্বর এবং নিজের নামের বানান যা লিখেছিল ফর্মে তা সঠিক ভাবে লেখা হয়েছে কি না মিলিয়ে নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার কাছে কাছে একটি ওটিপিও আসবে। সব তথ্য যাচাই করার পর ওটিপি দিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ করতে হবে। তারপর দফতরের তরফ থেকে একটি ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও পাঠানো হবে। যা প্রমাণ হিসেবে থাকবে যে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া সমস্ত কিছু ভেরিফিকেশন করে জমা দিয়েছে। প্রধানশিক্ষকের মোবাইলে আসা ওটিপি থাকলেই পোর্টালে ঢোকা যাবে।