ছবি: সংগৃহীত।
২০২৫ সালে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় আবেদনকারীরা কোন জাতিভুক্ত, তা নথিভুক্ত করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। নবম- দশম এবং একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির নাম নথিভুক্ত আবেদনকারীদের জন্য এই এডিট অপশন দেওয়া হল।
ওবিসি সংরক্ষণ মামলা বিচারাধীন থাকার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া চালু হওয়ার তিন দিনের মাথায় জাতি তালিকায় আবেদনের নিয়মে পরিবর্তন করে এসএসসি। সকল আবেদনকারীকে জেনারেল ক্যাটাগরিতে আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
বুধবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসএসসি জানাল, এ বার ওবিসি এ, ওবিসি বি এবং এসসি, এসটি আলাদা আলাদা তালিকায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবে। এই নথিভুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে ৫ অগস্ট থেকে ১১ অগস্টের মধ্যে। এসএসসির দেওয়া বিজ্ঞপ্তির শেষে উল্লেখ করা হয়েছে, এই জাতিগত সংরক্ষণ মিলবে কিনা তা সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের উপর নির্ভর করবে।
২১ জুলাই রাত ১১:৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে আবেদনপ্রক্রিয়া। সেখানে দেখা যাচ্ছে মোট ৫ লক্ষ ৮৪ হাজারের মতো পরীক্ষার্থী ফর্ম পূরণ করেছেন। যার মধ্যে নবম-দশমের জন্য আবেদন করেছেন তিন লক্ষ ৩০ হাজার মতো পরীক্ষার্থী। একাদশ-দ্বাদশে আবেদন করেছেন দু’লক্ষ ৫৪ হাজার পরীক্ষার্থী।
এসএসসি-র তরফ থেকে ‘যোগ্য’দের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে ১৫,৪০৩ জনের নাম উল্লেখ ছিল। পরে এসসসি-র তরফে আদালতে ১,৮০১ জন ‘অযোগ্য’-এর নথি জমা দেওয়া হয়েছিল। এসএসসি-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ফর্ম পূরণ করলেন ১৩,৭০০ জন। অর্থাৎ ১১ শতাংশ ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা এই নয়া প্রক্রিয়ায় যোগ দেননি। প্রায় ৮৯ শতাংশ ‘যোগ্য’ প্রার্থী যোগ দিয়েছেন।
যদিও এই ১৫,৩০৩ জন ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা এখনও স্কুলে কর্মরত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁরা স্কুলে পড়াতে পারবেন। ৩ এপ্রিল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৬ এসএলএসটি পরীক্ষার জন্য প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার মতো প্রার্থী আবেদন করেন। তার মধ্যে নবম-দশমে আবেদনের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৩৫ হাজার। আর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে আবেদন করেন প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার।