ছবি: সংগৃহীত।
স্কুলের দেওয়ালে সহজ পাঠ! ছবি-ছড়ার বাহারি আঁকিবুঁকিকে উৎসাহ দিতে সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে বিল্ডিং অ্যাজ় এ লার্নিং এইড (সংক্ষেপে বালা) কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। সেই কর্মসূচির অধীনে নানা রঙে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাহিনিও আঁকা থাকবে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের দেওয়ালে, এমনই পরিকল্পনা। কিন্তু হঠাৎই কমিয়ে দেওয়া হল এই প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ। ফলে কর্মসূচির বাস্তবায়ন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুলের বাইরে ও ভিতরের দেওয়ালে নানা রঙে নানা ছবির সাহায্য দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত বিপ্লবীদের অবদান সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সাজাতে হবে। এ জন্য চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্কুলগুলিকে ৫০০ টাকা, উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিকে ১,০০০ টাকা, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলির জন্য ১,৫০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজার অভিযোগ, “এ বারের বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ যথাযথ নয়। যা বরাদ্দ করা হয়েছে, তাতে এত কম সময়ের মধ্যে কী ভাবে কাজ শেষ হবে, তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।”
নারায়ণ দাস বাঙ্গুরের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়ার দাবি, এর আগের বছরগুলিতে এই বিশেষ কর্মসূচির জন্য ৫ হাজার টাকা কিংবা তার বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হত। এ বছর এক লাফে অনেকটা টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “রং করা বা অন্য কাজের জন্য যা খরচ হবে, সেই তুলনায় বরাদ্দ অর্থ যথেষ্ট নয়।”
বরাদ্দ অর্থ কেন কমানো হল? রাজ্যের সমগ্র শিক্ষা মিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতি বছর যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়ে থাকে, তা চলতি বছরের কর্মসূচির জন্য দেওয়া সম্ভব নয়। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সমগ্র শিক্ষা মিশনের প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রয়েছে। যৌথ প্রকল্পের ক্ষেত্রে কেন্দ্র বরাদ্দ টাকা না দিলে, রাজ্যের তরফে আলাদা করে ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। স্কুল সাজানোর কাজেও কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এক পা-ও চলতে নারাজ রাজ্য।
কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “আগে স্কুলগুলি এই প্রকল্পে টাকা অনেক বেশি পেত। গত বছর বহু স্কুলকে টাকা দেওয়া হয়নি। তার আগে পর্যন্ত পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হত। আর এ বছর একলাফে কমে হয়েছে ১৫০০ টাকা। এতে কী হবে!”