West Bengal Board of Primary Education

প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০২২-এর টেটের প্রয়োজনীয় যোগ্যতার মাপকাঠি

ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ঘোষণা করেছে যে, আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা আয়োজিত হবে। টেট পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা ও আবেদন জমা দেওয়া সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এখানে দেওয়া হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২২ ১৯:০৮
Share:

নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার মাপকাঠি সংগৃহীত ছবি

ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ঘোষণা করেছে যে, আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা আয়োজিত হবে। এই পরীক্ষাটি এনসিটিই-র নির্দেশিকার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই আয়োজন করা হয়। এই পরীক্ষাটির মাধ্যমে সরকারি, সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।

Advertisement

এই বছর অল্প কিছু পরিবর্তন ঘটেছে টেট পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা ও আবেদন জমা দেওয়ার জন্য বরাদ্দ মূল্যের পরিমাণে। সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এখানে দেওয়া হল।

টেট পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা:

Advertisement

প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য শিক্ষাগত ও পেশাদারি যোগ্যতা:

১. পরীক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর ও এলিমেন্টারি এডুকেশনে দু'বছরের ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি থাকতে হবে।

বা

২. পরীক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকে বা সমতুল পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর ও এলিমেন্টারি এডুকেশনে চার বছরের ব্যাচেলর্স ডিগ্রি থাকতে হবে।

বা

৩. পরীক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর এবং স্পেশাল এডুকেশনে ডিপ্লোমা বা রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া-র দ্বারা স্বীকৃত একটি কোর্স পাশ করতে হবে।

বা

৪. পরীক্ষার্থীদের স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বরসহ বিএড ডিগ্রি থাকতে হবে।ব্যতিক্রম— এসসি, এসটি, ওবিসি, অব্যাহতিপ্রাপ্ত, প্রাক্তন সেনা, বিশেষ ভাবে সক্ষম, কর্মরত অবস্থায় মৃত প্রভৃতি শ্রেণিভুক্ত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় নম্বরের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।

৫. যাঁরা এনসিটিই স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে দু বছরের ডিএলএড কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছেন এবং রেজাল্টের প্রতীক্ষায় রয়েছেন, তাঁরাও এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন।

৬. যাঁরা আরসিআই স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে দু'বছরের ডিএড কোর্সটির চূড়ান্ত পরীক্ষাটি দিয়েছেন এবং ফলাফলের প্রতীক্ষায় রয়েছেন, তাঁরা এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন।

৭. যাঁরা এনসিটিই স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষাটি দিয়েছেন এবং রেজাল্টের অপেক্ষা করছেন, তাঁরা এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন।

৮. যাঁরা ডিএলএড বা ডিএড (স্পেশাল এডুকেশন) বা বিএড-এর প্রশিক্ষণ (২০২০-২০২২ সেশনে) নিচ্ছেন অথবা ডিএলএড বা ডিএড (স্পেশাল এডুকেশন) বা বিএড- পার্ট ১ পরীক্ষাটি দেওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তাঁরাও এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন।

পরীক্ষার প্রথম ভাষা হিসেবে পরীক্ষার্থীদের বাংলা, হিন্দি, উর্দু, নেপালি, সাঁওতালি, ওড়িয়া এবং তেলুগু ভাষার মধ্যে যে কোনও একটি থাকতে হবে। এ ছাড়া,সকল পরীক্ষার্থীর দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি থাকতে হবে।

প্রয়োজনীয় পাশ নম্বর:

যে পরীক্ষার্থীরা টেট পরীক্ষায় মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ৬০ শতাংশ নম্বর পাবেন, তাঁদের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী বলে গণ্য করা হবে। এসসি, এসটি, ওবিসি, অব্যাহতিপ্রাপ্ত, প্রাক্তন সেনা, বিশেষভাবে সক্ষম, কর্মরত অবস্থায় মৃত ক্যাটেগরির অন্তর্ভুক্ত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ নম্বর ছাড় দেওয়া হয়।

তবে শুধু মাত্র টেট পাশ করলেই প্রাথিমকে শিক্ষক হিসেবে পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ করা হবে না, অন্যান্য সমস্ত শর্তও পূরণ করতে হবে।আবেদনপত্রের মূল্য:

জেনারেল ক্যাটেগরির পরীক্ষার্থীদের ১৫০ টাকা, ওবিসি 'এ' ও ওবিসি 'বি' ক্যাটাগরির পরীক্ষার্থীদের ১০০ টাকা এবং এসসি,এসটি, বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের ৫০ টাকা জমা দিতে হবে পরীক্ষায় আবেদন জানাতে গেলে। পরীক্ষার্থীরা এই টাকা অনলাইন মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে জমা করতে পারেন। এই পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীরা ১৪ অক্টোবর থেকে তাঁদের আবেদনপত্র জমা করতে পারবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন