Career options after ECE

রোবোটিক্স বা সেমিকন্ডাক্টর মিশনের নেপথ্যে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং! কী ভাবে তৈরি করবেন নিজেকে?

ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার এই বিশেষ বিষয়টি নিয়ে পড়ার জন্য জয়েন্ট এন্ট্রানস্ এগ্জ়ামিনেশন (জেইই) স্কোর থাকা প্রয়োজন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:১২
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার অধীনে বিভিন্ন ধরনের বিষয় শেখার সুযোগ পাওয়া যায়। যাঁরা কৃত্রিম মেধা, মেশিন লার্নিং নিয়ে পড়তে চান, তাঁরা সাধারণত আইটি সংক্রান্ত বিভাগের বিষয়গুলি বেছে নেন। যদিও নতুন বিষয়ের মধ্যেই সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল-এর মতো ‘কোর’ বিভাগে পড়াশোনার চাহিদাও কম নয়। এমনই একটি বিষয় হল ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন, যা ভবিষ্যতের শিল্প, স্বাস্থ্য, অটোমেশনের মত ক্ষেত্র এবং যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবনে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে চলেছে।

Advertisement

বিষয়টি কী?

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং একই সঙ্গে হার্ডঅয়্যার এবং সফট্অয়্যার বিষয়ের সমস্ত কিছু শেখার সুযোগ দেয়। এটি এমন একটি বিষয়, যেখানে এমবেডেড সিস্টেমস চালনা করার জন্য সি, সি+, পাইথন-এর মতো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ়-এর খুঁটিনাটি পড়ানো হয়। আবার বৈদ্যুতিন সার্কিট ডিজ়াইন, অটোমেশন সিস্টেমস-এর রক্ষণাবেক্ষণের মতো বিষয়গুলি নিয়ে পড়তে হয়।

Advertisement

একই সঙ্গে দু’ধরনের বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুবিধা থাকার কারণে, পড়ুয়াদের কাছে কোনও বৈদ্যুতিন যন্ত্র তৈরি এবং তাকে চালনা করার মতো দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জনের সুযোগ থাকে। এ ক্ষেত্রে মাইক্রোচিপ, রোবট, স্যাটেলাইট, অত্যাধুনিক মোবাইল নেটওয়ার্ক সিস্টেম, ড্রোন তৈরি থেকে শুরু করে বায়োমেডিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট, ডায়গনোসিস টুল, বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির মতো কাজেও ওই ডিগ্রির জ্ঞান কাজে লাগে।

কী ভাবে?

শহর হোক বা গ্রাম, যে কোনও এলাকায় যোগাযোগের জন্য এখন ভরসা ফোন। ২জি থেকে এখন ৫জি নেটওয়ার্ক-এর পথে হাঁটছেন অনেকেই। কিন্তু এখনও তার আওতায় আসেননি বহু মানুষ। কী ভাবে তা করা যেতে পারে, তার চাবিকাঠি লুকিয়ে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ।

একই সঙ্গে দেশে শুরু হয়েছে সেমিকান্ডাক্টর মিশন। ল্যাপটপ, মোবাইল, বৈদ্যুতিক গাড়িতে যে মাইক্রোচিপ ব্যবহার করা হয়, তা নিয়ে পড়াশোনা, গবেষণা সবই এই বিষয়ের অধীনে পড়ে। তাই যাঁরা সেমিকান্ডাক্টর শিল্পে যোগদানে আগ্রহী, তাঁদের জন্য এই বিষয়টি পেশা প্রবেশের পথ খুলে দিতে পারে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুরের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক কণিকা দাস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দেশকে ডিজিটাল করার জন্য ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন— এই দু’টি বিষয়েই বিশেষজ্ঞদের দক্ষ হতে হবে। তা না হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তকে একই ছন্দে জুড়ে ফেলা অসম্ভব। তিনি আরও বলেন, “হাতে ফোন বা কম্পিউটারে ইন্টারনেট থাকাই যথেষ্ট নই। তা কতটা কার্যকরী ভাবে পরিষেবা দিতে পারছে, সেটা সুনিশ্চিত করার কৌশল এই বিষয়টি শেখায়।”

কারা পড়তে পারবেন?

উচ্চ মাধ্যমিক কিংবা সমতুল পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের বিষয় নিয়ে পড়াশোনার পর এই বিষয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে পারবেন। এ জন্য পড়ুয়াদের জয়েন্ট এন্ট্রানস্ এগ্জ়ামিনেশন (জেইই) স্কোর থাকা প্রয়োজন। ওই স্কোরের ভিত্তিতেই আইআইটি প্রতিষ্ঠান, এনআইটি-গুলিতে ভর্তি হওয়া যায়। এ ছাড়াও এই রাজ্যে আইআইআইটি কল্যাণী, আইআইইএসটি শিবপুর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী এবং কোচবিহারের গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ-এ ওই বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।

কোন কোন ক্ষেত্রে পেশা প্রবেশের সুযোগ?

ড্রোন ইঞ্জিনিয়ার, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, ডেটা সায়েন্টিস্ট, সফট্অয়্যার ডেভেলপার, অটোমোটিভ অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ভেহিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, কন্ট্রোল সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ার, টেলিকম অ্যান্ড নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, এআই ইঞ্জিনিয়ার, রোবোটিক্স অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ার, চিপ ডিজ়াইন ইঞ্জিনিয়ার— এই সমস্ত কাজের উল্লিখিত ডিগ্রিপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হয়।

সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় বর্তমানে চুক্তির ভিত্তিতে এই সমস্ত পদে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, প্রতিরক্ষা বিভাগ, ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন, ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড-এর মতো সংস্থাও রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement