কাশ্মীরে ভুয়ো সংঘর্ষে দোষী সাব্যস্ত সেনা অফিসার-সহ ১০

বদগামে গুলি চালনার ‘ভুল’ স্বীকার করার সপ্তাহখানেকের মধ্যে ফের একবার ‘ভুল’ স্বীকার করল সেনাবাহিনী। বছর চারেক আগের ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সেনাবাহিনীর দুই অফিসার-সহ ১০ জন। এদের মধ্যে সাত জনই সেনা কর্মী। বাকি তিন জনের মধ্যে এক জন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান এবং দু’জন সাধারণ নাগরিক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ১২:৩৮
Share:

বদগামে গুলি চালনার ‘ভুল’ স্বীকার করার সপ্তাহখানেকের মধ্যে ফের একবার ‘ভুল’ স্বীকার করল সেনাবাহিনী। বছর চারেক আগের ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সেনাবাহিনীর দুই অফিসার-সহ ১০ জন। এদের মধ্যে সাত জনই সেনা কর্মী। বাকি তিন জনের মধ্যে এক জন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান এবং দু’জন সাধারণ নাগরিক।

Advertisement

২০১০-এর ৩০ এপ্রিল কাশ্মীরের বারামুলা জেলার নাদিহালের বাসিন্দা মহম্মদ সফি, শেহজাদ আহমদ এবং রিয়াজ আহমদকে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় গুলি করে হত্যা করে সেনাবাহিনী। তাঁদের পাক জঙ্গি হিসাবে চিহ্নিত করে সেনা। অনুপ্রবেশের সময়ে গুলির লড়াইয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে সেনার তরফে দাবি করা হয়। এর পরেই অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা উপত্যকা। সফি-শেহজাদদের নিরপরাধ বলে আন্দোলন শুরু করে স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সেনাবাহিনীতে চাকরির সন্ধানে গিয়েছিল ওই স্থানীয় তরুণরা। তাঁদের উপর ‘পাক জঙ্গি’র তকমাও মিথ্যা বলে দাবি করেন তাঁরা। ক্রমশ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা উপত্যকায়। মাসখানেকের মধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় শ’খানেক আন্দোলনকারীর। পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে ১১ জন কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সেনা। বৃহস্পতিবার সেই তদন্তে দোষী সাব্যস্ত করা হল অভিযুক্তদের। মূল অভিযুক্ত রাজপুত রেজিমেন্টের কম্যান্ডিং অফিসার কর্নেল ডি কে পাঠানিয়া এবং মেজর উপিন্দর। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই তাদের সাসপেন্ড করা হয়। এ দিন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এই দু’জন ছাড়া বাকি দোষীদের বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শালের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সেনা কর্তৃপক্ষ।

সপ্তাহখানেক আগে জঙ্গি সন্দেহে গুলি চালিয়ে ৫৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস-এর জওয়ানরা হত্যা করে দুই কিশোরকে। সে দিনের ঘটনার ভুল স্বীকার করে নিহতদের ক্ষতিপূরণের ঘোষণার পাশাপাশি ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকার কথা বলা হয় সেনার তরফে। আহতদের বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে ওই ঘটনারও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন