রাজাকার নেতা মোবারক হোসেনের মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশে

যুদ্ধাপরাধের মামলায় বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ার রাজাকার কম্যান্ডার ও প্রাক্তন আওয়ামি লিগ নেতা মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এই রায় দেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:২৪
Share:

আদালতের বাইরে মোবারক হোসেন। সোমবার ঢাকায় এএফপি’র তোলা ছবি।

যুদ্ধাপরাধের মামলায় বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ার রাজাকার কম্যান্ডার ও প্রাক্তন আওয়ামি লিগ নেতা মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এই রায় দেন।

Advertisement

ওই রাজাকার নেতার বিরুদ্ধে খুন, নির্যাতন, লুঠপাট, এবং অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। রায়ে বিচারপতি রহিম জানান, রাজাকার নেতা মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে তিনটি প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বাকি তিনটি মামলায় প্রমাণের অভাবে ট্রাইব্যুনাল মোবারককে মুক্তি দিয়েছে।

অভিযোগ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় ৩৩ জনকে খুন করেন রাজাকার নেতা মোবারক হোসেন এবং তাঁর সহযোগীরা। তাঁর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী এক নেতাকেও খুনের অভিযোগ ওঠে। রাজাকার নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন শাহবাগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত গণজাগরণ মঞ্চের সদস্যরা।

Advertisement

মুক্তিযুদ্ধের সময় মোবারক হোসেন জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত ছিলেন।

এর পর তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগে যোগ দেন। বছর দুই আগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের পাঁচটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই বছরই শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। মোট বারো জন তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।

২০১০ সালে শেখ হাসিনা সরকারে আসার পর যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। যুদ্ধোপরাধের কারণে এখনও পর্যন্ত ১০জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দু’জনকে আমৃত্যু যাবজ্জীবনের আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন