মালদহের কালিয়াচকে শুক্রবার সকালে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, কালিয়াচকে পুরাতন ষোলো মাইলের মাস্টার পাড়ার পিছনে বাঁশঝাড়ের মধ্যে এই বোমাগুলি রাখা ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ৬০টিরও বেশি বোমা বাঁশঝাড়ের মধ্যে লুকানো ছিল। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ১৬টির মতো বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। বাঁশঝাড়ের আশেপাশে আরও বিস্ফোরক লুকানো রয়েছে কি না তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ও সিআইডি। গত বুধবার রাতে কালিয়াচকেরই হাতিচাপা গ্রামে বোমা ফেটে জখম হন এক যুবক। খাগড়াগড় কাণ্ডের পর মজুত বোমা সরাতে গিয়েই অসাবধানে তা ফেটে যায় বলে জানায় পুলিশ। এই ঘটনার বেশ কয়েক দিন আগে মালদহের ইংরেজবাজার ও বৈষ্ণবনগরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বৈষ্ণবনগরে বিস্ফোরণে যুক্ত এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বিস্ফোরকের খোঁজে এলাকায় বহুদিন ধরেই তল্লাশি চলছে। বৃহস্পতিবার রাতে খবর পেয়ে ওই এলাকায় পৌঁছন তাঁরা। বাঁশঝাড়ের মধ্যে একটি প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে ওই বোমাগুলির খোঁজ পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে সে গুলি নিষ্ক্রিয় করেন বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা। ক্রিকেট বলের মতো দেখতে প্লাস্টিকের ছোট বলের মধ্যে বিস্ফোরক ঠেসে এই বোমাগুলি তৈরি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ওই বোমাগুলি তাজা ও খুবই শক্তিশালী। বৃহস্পতিবার অথবা বুধবার রাতেই সে গুলি তৈরি করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে তল্লাশি চালানোর সময় ওই বোমাগুলির খোঁজ পাই। সম্ভবত ওই দিনই বোমাগুলি তৈরি করা হয়েছিল। এলাকায় আরও কোনও বিস্ফোরক রাখা আছে কি না তার খোঁজ চলছে।’’