বম্বে হাইকোর্টের রায়ে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বস্তি সলমনের

নিম্ন আদালতের রায় মুলতুবি করে সলমন খানের জন্য বড়সড় স্বস্তি এনে দিল বম্বে হাইকোর্ট। গাড়ি চাপা দিয়ে অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে দু’দিনের জামিন মিলেছিল আগেই। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে আসা থেকেও নিষ্কৃতি দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। আর শুক্রবার জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে মুম্বইয়ের নগর ও দায়রা আদালতের দেওয়া সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে জামিন বহাল রাখল বম্বে হাইকোর্ট। আগামী সোমবার থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হচ্ছে আদালতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৫ ১৮:৫১
Share:

জামিনের আবেদন করতে দায়রা আদালতের পথে সলমন। ছবি: এএফপি।

নিম্ন আদালতের রায় মুলতুবি করে সলমন খানের জন্য বড়সড় স্বস্তি এনে দিল বম্বে হাইকোর্ট। গাড়ি চাপা দিয়ে অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে দু’দিনের জামিন মিলেছিল আগেই। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে আসা থেকেও নিষ্কৃতি দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। আর শুক্রবার জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে মুম্বইয়ের নগর ও দায়রা আদালতের দেওয়া সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে জামিন বহাল রাখল বম্বে হাইকোর্ট। আগামী সোমবার থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হচ্ছে আদালতে। এক মাসের ছুটির পর আগামী ১৫ জুন ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত। তবে দু’দিনের জামিনের মেয়াদ এ দিন শেষ হয়ে যাওয়ায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে ফের তাঁকে জামিন নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বম্বে হাইকোর্টের এই রায় বেরনোর কিছু পরই মুম্বইয়ের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে নগর দায়রা আদালতের উদ্দেশে রওনা হন সলমন।

Advertisement

বলিউডি নায়কের ‘সমর্থনে’ আদালতের বাইরে এ দিন ছিল সলমন-ভক্তদের বিশাল ভিড়। নিম্ন আদালতে নায়কের সাজা ঘোষণার প্রতিবাদে হাইকোর্ট চত্বরে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন এক সলমন-ভক্ত। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সলমনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে হাইকোর্টের বাইরে অপেক্ষারত তাঁর ভক্তকূল।

বৃহস্পতিবারের মতো এ দিনও সকাল থেকে নায়কের বাড়িতে ছিল বলিউডের বিভিন্ন তারকার ভিড়। দেখা করতে যান অনু মালিক, অজয় দেবগন, আব্বাস-মাস্তানরা। শুনানির সময়ে আদালত কক্ষে উপস্তিত ছিলেন সলমনের বোন আলভিরা এবং কংগ্রেস নেতা বাবা সিদ্দিকি।

Advertisement

বিচারপতি অভয় থিপসে শুনানির শুরুতেই প্রশ্ন তোলেন, সে দিন গাড়িতে উপস্থিত কামাল খানকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না? সলমনের আইনজীবীরা জানান, ঘটনার এক মাত্র প্রত্যক্ষদর্শী রবীন্দ্র পাতিল প্রথমে জানিয়েছিলেন গাড়িতে চার জন ছিলেন। পরে তিনি আদালতে জানান, গাড়িতে ছিলেন তিন জন। রায় ঘোষণার সময়ে বিচারপতি থিপসে বলেন, “মামলাটিতে এখনও অনেক বিষয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। যেহেতু অভিযুক্তের সাত বছরের কম সাজা হয়েছে, তাই পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত তাঁকে জামিন দেওয়া হল। তবে দেশ ছাড়ার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে সলমনকে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement