জগমোহন ডালমিয়া।— ফাইল চিত্র।
বিসিসিআইয়ের সাধারণ নির্বাচনে যে কঠিন লড়াইয়ের দিকে গোটা ভারতীয় ক্রিকেটমহল তাকিয়ে ছিল, রবিবার সেই লড়াইয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেল। বোর্ড নির্বাচনে শ্রীনিবাসন না দাঁড়াতে পারলেও সভাপতি হিসাবে সমর্থন করেছেন জগমোহন ডালমিয়াকে। অন্য দিকে, ফের এই নির্বাচনের ময়দানে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন শরদ পওয়ার। এ দিন তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল। বিকেল ৩টে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে পওয়ার শিবির থেকে কোনও মনোনয়ন পত্রই জমা পড়েনি। ফলে যে লড়াইটা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ডালমিয়া বনাম পওয়ার, এখন তা একপেশে হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বোর্ড সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে ডালমিয়ার সামনে আর কোনও কাঁটাই রইল না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি বোর্ডের সভাপতি নির্বাচন হলেন। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক বিষয়গুলি মিটিয়ে নেওয়ার অপেক্ষা। সোমবার বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা। ওই দিনই সর্বসম্মত ভাবে ডালমিয়াকে বোর্ড সভাপতির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে বোর্ড সূত্রে খবর।
বোর্ড সভাপতির নির্বাচন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হলেও লড়াই কিন্তু এখানেই থেমে নেই! বোর্ডের অন্যান্য পদগুলি যেমন সচিব, সহ-সচিব, কোষাধ্যক্ষ এবং সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়াইয়ে শ্রীনির শিবিরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ পওয়ার শিবির। বোর্ড সচিব পদে সঞ্জয় পটেলকে শ্রীনি-শিবির সামনে রাখলেও, পওয়ার শিবির সেই তালিকায় রেখেছে অনুরাগ ঠাকুরকে। সহ-সভাপতি পদের জন্য শ্রীনি-শিবির থেকে মনোনীত করা হয়েছে সি কে খন্না (উত্তরাঞ্চল), গঙ্গারাজু(দক্ষিণাঞ্চল), গৌতম রায় (পূর্বাঞ্চল) এবং মধ্যাঞ্চল থেকে এক জন। অন্য দিকে, এই পদের জন্য পওয়ার শিবিরের প্রার্থীরা হলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, রবি সাবন্ত এবং এম পি পান্ডোবে। বোর্ড সভাপতির পরীক্ষায় সহজে উতরে গেলেও বাকি পদগুলিতে শ্রীনি শিবির কি বাজিমাত করতে পারবে সেটাই এখন দেখার।
বোর্ড সভাপতি নির্বাচনে শ্রীনি-শিবিরকে আটকাতে শনিবারই চেন্নাই উড়ে যান শরদ পওয়ার। বৈঠক করেন তাঁর সমর্থকদেক সঙ্গে। ডালমিয়ার বিরুদ্ধে মনোনয়ন পেশ করার জন্য এ দিন ছিল শুধু অপেক্ষার পালা। কিন্তু শেষমেশ শরদ পওয়ার মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ায় গোটা বিষয়টায় পরোক্ষে শ্রীনির ‘জয়’ হল বলে দাবি তাঁর সমর্থকদের।