ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন লেহবাসী। ছবি: এএফপি।
নির্বিঘ্নেই শেষ হল ঝাড়খণ্ড এবং জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ওই দুই রাজ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ দিন দুপুর দু’টো পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ৫০ শতাংশ এবং ঝাড়খণ্ডে বিকেল পর্যন্ত ৪৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
ঝাড়খণ্ডে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নির্দল মিলিয়ে মোট ১৯৯ জন প্রার্থী লড়াইয়ে নামেন। এ রাজ্যে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩৪ লাখ। বিজেপিকে রুখতে শাসকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সামনে এ বারের নির্বাচন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথম দফায় ১৩টি আসনের মধ্যে ১২টিতেই প্রার্থী দেয় বিজেপি। পলামু, গুমলা, চাতরা, গাড়বা, লোহারডাগা, লাতেহার— এই জায়গাগুলি মাওবাদী প্রভাবিত হওয়ায় কড়া নিরাপত্তায় সম্পন্ন হয় প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। এ দিন সকালে পলামুর হুসেনবাদ বিধানসভা থেকে একটি ল্যান্ডমাইন উদ্ধার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা ।
সম্প্রতি বিহারের উপনির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী জোট গড়ে সাফল্য পেয়েছিলেন লালু-নীতীশ। মোদী ম্যাজিক কাটিয়ে ঝাড়খণ্ডে সেই পথেই সাফল্য আসবে কিনা এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।
অন্য দিকে, জম্মু-কাশ্মীরে এ দিন ১৫টি আসনে লড়েন ১২৩ জন প্রার্থী । তাঁদের মধ্যে নাজির আহমেদ খান গুরেজি, মহম্মদ আকবর লোন, মিঞা আলতাফ-সহ বিদায়ী মন্ত্রিসভার সাত জন মন্ত্রীও ছিলেন। জম্মুর ডোডা, রামবন, বানিহাল, কিস্তওয়ার, ইন্দেরবাল, ভাদেরওয়ার পাশাপাশি কাশ্মীরের গুরেজ, গান্ডেরবাল, বান্দিপোরা, সোনাওয়াড়ি এবং কঙ্গন-এ শেষ হয় প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ। এ ছাড়া লাদাখের লেহ্, কার্গিল, নোব্রা এবং জাঁসকরেও হয় ভোটগ্রহণ। রাজ্যে এ বার চতুর্মুখী লড়াই। শাসকদল ন্যাশনাল কনফারেন্সের পাশাপাশি সমস্ত আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিরোধী দল পিডিপি, বিজেপি এবং কংগ্রেস। প্রথম দফায় রাজ্যে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের জন্য বুথের সংখ্যা ১৯০০-র কাছাকাছি। ভাদেরওয়ারের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়েছে মানুষ। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা ভোট বয়কটে কোনও প্রভাব পড়েনি।
এ বারের বিধানসভা ভোটে বিজেপির পাখির চোখ এই রাজ্য। সেই লক্ষ্যে জম্মু-কাশ্মীরে সব রকম ভাবে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। প্রচারযাত্রা শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে। ভোটের আগে বেশ কয়েক বার কাশ্মীর সফরেও এসেছিলেন তিনি। রাজ্যে ভয়াবহ বন্যার পর মানুষের আবেগ কার প্রতি কাজ করবে, সে দিকেই আপাতত তাকিয়ে গোটা দেশ।