প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ছত্তীসগঢ় সফর

শতাধিক গ্রামবাসীকে অপহরণের অভিযোগ মাওবাদীদের বিরুদ্ধে

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর প্রথম ছত্তীসগঢ় সফরেও পিছু ছাড়ল না মাও-অস্বস্তি। প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ না দেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রায় ৫০০ গ্রামবাসীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। পুলিশের তরফ থেকে প্রথমে এই তথ্য স্বীকার করা হলেও পরে অবশ্য তা অস্বীকার করা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৫ ১৭:৪২
Share:

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাচ্ছেন ছত্তীসগঢ়ের রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর প্রথম ছত্তীসগঢ় সফরেও পিছু ছাড়ল না মাও-অস্বস্তি। প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ না দেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রায় ৫০০ গ্রামবাসীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। পুলিশের তরফ থেকে প্রথমে এই তথ্য স্বীকার করা হলেও পরে অবশ্য তা অস্বীকার করা হয়।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর ছত্তীসগঢ় সফরের বিরোধিতা করে শনিবার হরতাল ডেকেছে মাওবাদীরা। কিরণ্ডল থেকে বিশাখাপত্তনমগামী রেললাইনও তারা উড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে টংপাল থানার মারেঙ্গা গ্রাম এবং সংলগ্ন এলাকায় হানা দেয় বিশাল মাওবাহিনী। অভিযোগ, সেখান থেকেই প্রায় ৫০০ জন গ্রামবাসীকে অপহরণ করে তারা। ঘটনার কথা স্বীকার করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হরিশ রাঠৌর জানান, অপহৃতদের মধ্যে শিশু এবং মহিলাও আছে। যদিও অপহরণের ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে পুলিশেরই একাংশ। বস্তারের আইজি আর পি কাল্লুরি বলেন, “অপহরণের ঘটনা সংবাদমাধ্যমের সাজানো। মারেঙ্গায় একটি সেতু নির্মাণে যুক্ত থাকায় চার-পাঁচ জন শ্রমিককে অপহরণ করে মাওবাদীরা। পরে শ’পাঁচেক গ্রামবাসীর একটি দল তাদের ছাড়াতে গিয়েছিল।” পরে লখনউতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিজের প্রথম ছত্তীসগঢ় সফরে কিন্তু স্বমেজাজেই ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। স্থানীয় একটি স্কুলে এক ঝাঁক পড়ুয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, “সাফল্য বা অসাফল্যের উপর নিজের জীবনের বিচার না করে লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হবে।” পড়ুয়াদের পড়াশোনা এবং চাকরির পাশাপাশি খেলাধুলাতেও সমান ভাবে অংশ নেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দেন মোদী।

Advertisement

এ দিন দন্তেওয়াড়ায় একটি অত্যাধুনিক ইস্পাত কারখানা এবং রাওঘাট-জগদলপুর রেলপথের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দন্তেওয়াড়ায় আরও একটি ইস্পাত কারখানার জন্য মউ সাক্ষরও হয়। প্রতি বছর আনুমানিক তিন মিলিয়ন টন ইস্পাত তৈরি হবে এই কারখানায়। এই কারখানা চালু হলে এলাকার প্রায় ১০ হাজার কর্মসংস্থান হবে আশা ছত্তীসগঢ় সরকারের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন