Governor CV Ananda Bose

‘আমার বদনাম করে ভোটে ফায়দা তোলার চেষ্টা’, শ্লীলতাহানি-অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী। হেয়ার স্ট্রিট থানায় গিয়েছিলেন তিনি। সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৪ ২১:৩৩
Share:

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী। সেই বিষয়ে এ বার মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজে। তিনি জানালেন, তাঁর বদনাম করে কেউ বা কারা ভোটের বাজারে ফায়দা তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই অভিযোগকে ‘কৌশলী আখ্যান’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘সত্যের জয় হবেই। কৌশলী কোনও আখ্যানের সামনে আমি মাথা নত করতে রাজি নই। যদি আমার বদনাম করে কেউ ভোটে ফায়দা তুলতে চান, ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুন। কিন্তু তাঁরা বাংলায় দুর্নীতি এবং হিংসার বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামাতে পারবেন না।’’

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘অভিযোগ সত্য না কি চক্রান্ত, সেটা দেখতে হবে। ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে, সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূল কোণঠাসা। এই অভিযোগ ভোটের মুখে রাজনৈতিক চক্রান্ত কি না, তা দেখতে হবে। যদি সত্য হয়, তবে নিশ্চয়ই কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ করবে।’’

Advertisement

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে এক মহিলা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। নিজেকে রাজভবনের অস্থায়ী কর্মচারী বলে দাবি করেছেন তিনি। ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রাজ্যপালের সাংবিধানিক রক্ষাকবচ রয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৬১ অনুসারে, কোনও ফৌজদারি পদক্ষেপ তাঁর বিরুদ্ধে করা যায় না।’’ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ অতীতে উঠেছে বলেও মনে করতে পারেননি তিনি।

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘একটি মেয়ের শ্লীহতাহানি হয়েছে। এটা তো ক্ষমাযোগ্য নয়। এটার তো বিহিত হওয়া দরকার। এতে কোনও চেয়ার (পদ) অভিযুক্তকে রক্ষাকবচ দিতে পারে না।’’

অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার রাতেই রাজভবনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার বাংলার তিন কেন্দ্রে তিনি শুক্রবার ভোটের প্রচার করবেন। তার আগে বৃহস্পতিবারের রাত তাঁর রাজভবনে কাটাবেন। মোদী পা রাখার আগেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন এই অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement