দিল্লি বিধানসভার দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এই অধিবেশনে উপ-রাজ্যপালের ক্ষমতা সম্পর্কিত কেন্দ্রের নির্দেশিকা নিয়ে আলোচনা হবে বলে শনিবার জানিয়েছেন কেজরীবাল। এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বেশ কিছু দিন ধরেই দিল্লির উপ-রাজ্যপাল নজীব জঙ্গের সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। সমস্যা হয়েছে উপ-রাজ্যপাল নজীব জঙ্গের হাতে ঠিক কী ধরনের ক্ষমতা রয়েছে তা নিয়ে। এ বারের বিতর্কের সূত্রপাত অস্থায়ী মুখ্যসচিব নিয়োগকে ঘিরে। উপ-রাজ্যপালের তরফে জানানো হয়, ৪০ ঘণ্টা অপেক্ষা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার কাকে অস্থায়ী মুখ্যসচিব করবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত উপ-রাজ্যপাল বাধ্য হয়ে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। কেজরীবালদের দাবি, উপ-রাজ্যপালের এ বিষয়ে এক্তিয়ার নেই।
এর পরে কেন্দ্র এক নির্দেশিকা জারি করে জমি, আইনশৃঙ্খলা ও কর্মিবর্গ দফতরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব যে উপ-রাজ্যপালের হাতেই রয়েছে তা স্পষ্ট করে দেয়। পাল্টা আক্রমণে অরবিন্দ কেজরীবালও বলেন, ‘‘নজীব জঙ্গ যেন ভাইসরয়! আর প্রধানমন্ত্রীর দফতর হল ইংল্যান্ডের রানি! ভাইসরয়ের মাধ্যমে এখন রানি দিল্লিকে শাসন করতে চাইছেন।’’
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, দিল্লিতে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও অধিকার দিল্লি সরকারের দুর্নীতিদমন শাখার নেই। কেজরীবাল শিবিরের মতে, এ ভাবে দুর্নীতি দমনে বাধা দিচ্ছে মোদী সরকার। এ বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথাও বলা হয়।
এ দিন ক্যাবিনেটের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মঙ্গলবার এ নিয়ে অধিবেশন শুরু হবে। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কিরণ রিজ্জু পুরো বিষয়টিকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা নাটকে নয়, শাসনে বিশ্বাস করি।’’