দিল্লিতে বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিরণ বেদীর বিরুদ্ধে ‘একনায়ক’ নেতৃত্বের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বিজেপি থেকে ইস্তফা দিলেন নরেন্দ্র ট্যান্ডন। এ দিন তিনি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। প্রাক্তন ওই পুলিশ কর্তা তথা বিজেপি নেত্রীর প্রচার সহযোগী নরেন্দ্র জানান, কিরণের নেতৃত্বে কাজ করা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছিল। তাই এমন সিদ্ধান্ত।
এ বারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে কিরণ বেদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে বিজেপি। তাঁর হয়ে ভোট প্রচারের যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজ্য বিজেপির কার্যনির্বাহী সদস্য নরেন্দ্রকে। আর চার দিন পরেই রাজধানীতে নির্বাচন। প্রস্তুতিও তুঙ্গে। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বেদীর প্রচার সহযোগী নরেন্দ্রর দল ছাড়ার বিষয়টি কি প্রভাব ফেলবে নির্বাচনের উপর? এ বিষয়ে বিজেপি-র তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দলের নির্বাচনী প্রস্তুতিতে এর প্রভাব কোনও ভাবেই পড়বে না। নরেন্দ্রর বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁর কাজকর্ম খুব একটা সন্তোষজনক ছিল না। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র প্রবীণ শঙ্কর কপূর জানান, ওই নেতা এর আগেও দলে নানা সমস্যা তৈরি করেছিলেন। তবে, নরেন্দ্রর ইস্তফা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কিরণ বেদী।
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজেপি-র ছাত্র ইউনিয়ন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নরেন্দ্র। পরবর্তী কালে তিনি রাজ্য বিজেপির অন্যতম সম্পাদক হন।