কৃষকস্বার্থেই জমি বিল, রেডিওতে বার্তা মোদীর

জমি বিল নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ে অবশেষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার এক রেডিও বার্তায় বিলের সপক্ষে যুক্তি দিলেন তিনি। বিরোধীদের কটাক্ষ উড়িয়ে বিলটি কৃষকদের পক্ষে কল্যাণকর বলে মন্তব্য করেন তিনি। আকাশবাণীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এ দিন সকালে তিনি বলেন, “কৃষকদের গরিব করে রাখতেই এই বিলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিরোধীরা। এটি কৃষক-বিরোধী বিল নয়।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৫ ১৩:৫২
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

জমি বিল নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ে অবশেষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার এক রেডিও বার্তায় বিলের সপক্ষে যুক্তি দিলেন তিনি। বিরোধীদের কটাক্ষ উড়িয়ে বিলটি কৃষকদের পক্ষে কল্যাণকর বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Advertisement

আকাশবাণীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এ দিন সকালে তিনি বলেন, “কৃষকদের গরিব করে রাখতেই এই বিলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিরোধীরা। এটি কৃষক-বিরোধী বিল নয়।” বরং এই বিলে কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে বলে দাবি করেন মোদী। এমনকী, শিল্প গড়ার জন্য জমি অধিগ্রহণ হলে জমিদাতাদের চাকরি এবং ক্ষতিপূরণও সুরক্ষিত দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। দেশের বিভিন্ন অংশে শিলাবৃষ্টি ও অসময়ে বৃষ্টিতে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে লোকসানে পড়েছেন অধিকাংশ কৃষক। এ দিন তা উল্লেখ করে মোদী বলেন, “কৃষকদের এই দুঃসময়ে আমি তাঁদের পাশে আছি।” একই সঙ্গে তাঁর আশ্বাস, “সরকার সব রকম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করবে।”

জমি বিলকে কৃষকের স্বার্থ-বিরোধী বলে একজোটে প্রচার চালাচ্ছে বিরোধীরা। সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে বিল নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। অর্ডিন্যান্স জারি করে এতে বেশ কিছু সংশোধনী আনলেও বিরোধীরা নরম মনোভাব দেখায়নি। বরং বিজেপি সরকারকে কৃষক এবং গরিব বিরোধী বলে প্রচার করতে থাকে তারা। বিল নিয়ে বিরোধীদের বাধা ছাড়াও বিজু জনতা দলের মতো বন্ধু দল বা শিবসেনা ও অকালি দলের মতো কেন্দ্রীয় সরকারের শরিক দলগুলির বিরোধিতার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। এই আবহেই ন’টি সংশোধনী-সহ লোকসভায় বিলটি পাশ করিয়ে নেয় সরকার। কিন্তু, রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় সেখানে এটি পেশ করেনি কেন্দ্র। বিল নিয়ে সনিয়ার নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার বিরোধীরা রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে। গত শুক্রবারে বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার পর পরবর্তী অধিবেশন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে সংসদ। অধ্যাদেশের সময়সীমা ৫ এপ্রিল পর্যন্ত।

Advertisement

এই আবহেই এ দিন মোদীর দাবি, জমি অধিগ্রহণ বিলের মূল ধারণাটি আসলে ১২০ বছরের পুরনো। তিনি জানান, বেশ কিছু সংশোধনীর প্রয়োজনেই বিলটি ফের পেশ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন