আলু এবং ধানের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি, রাজ্যে একের পর এক কৃষকদের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনার তদন্ত এবং ১০০ দিনের কাজ— এই তিন দাবিতে বাঁকুড়ার সদর দফতরের তিনটি এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল সিপিএমের কৃষক সভা। সেই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে সশস্ত্র তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলল সিপিএম। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার বিকনা মোড়ে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমিয় পাত্র বলেন, “বিকনা মোড়ে অবরোধকারীদের উপরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। গুরুতর জখম হয়ে এক জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
যদিও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। পাল্টা অভিযোগে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, “নিজেদের প্রচারের আলোয় আনার স্বার্থেই সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা বলা হচ্ছে।”
সূত্রের খবর, এ দিন কয়েকটি দাবি নিয়ে জেলা সিপিএমের কৃষক সভা বাঁকুড়ার কয়েকটি এলাকায় রাস্তা অবরোধ করার কর্মসূচি আগাম পুলিশকে জানিয়েছিল। বাঁকুড়ার বিকনা মোড়, ঢলঢাঙা মোড় এবং শালবনিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের কৃষক সভা। সেই মতো পুলিশও মোতায়েন ছিল।
অবরোধকারীদের অভিযোগ, অবরোধ চলাকালীনই জনা ৪০ যুবক লাঠি নিয়ে বিকনা মোড়ে উপস্থিত হয়। তাঁদেরকে অবরোধ তুলতে বলে। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পুলিশের সামনেই অবরোধকারীদের উপরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। হামলাকারীরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে।
সিপিএমের কৃষক সভার এই অবরোধের জেরে এ দিন সকাল সাতটা থেকে বাঁকুড়ায় বিভিন্ন রাস্তায় ঘণ্টা তিনেক যান চলাচল ব্যাহত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রানিগঞ্জ, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া-দুর্গাপুর-সহ বিভিন্ন রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে আলুর সহায়ক মূল্য ১০ টাকা ঘোষণার দাবিতে ময়নাগুড়ির ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এসইউসি কর্মী-সমর্থকরা। যানজটে নাকাল হয়ে নিত্যযাত্রীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রশাসনের কাছে দরবার না করে কেন অহেতুক সাধারন মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলা হচ্ছে। এ দিনও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ বেড়েছে।