পণবন্দি আইনজীবী। ছবি: এএপপি।
আদালতের ভিতরেই পণবন্দি করা হল এক আইনজীবীকে। এমনটাই ঘটেছে তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুলে। কোনও ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন নয়, এ বারের ঘটনায় জড়িত শহরের এক অতি-বামপন্থী সংগঠন। মঙ্গলবার আইনজীবী মেহমেত সেলিম কিরাজকে পণবন্দি করে কয়েক জন সশস্ত্র ব্যক্তি। কিশোর বেরিকন ইলভানের মৃত্যুর বিচার মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিরাজ। জানা গিয়েছে, সশস্ত্র ব্যক্তিরা ‘রেভলিউশনারি পিপল্স লিবারেশন পার্টি’র সঙ্গে যুক্ত।
সরকার বিরোধী এক মিছিলে যোগ দিতে গিয়ে আহত হয় ১৪ বছর বয়সী ইলভান। ২৬৯ দিন কোমায় থাকার পর প্রায় এক বছর আগে মৃত্যু হয় ইলভান-এর। তাঁর মৃত্যুর জন্য পুলিশই দায়ী বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে করা মামলার বিচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিরাজ। এ দিন ইস্তানবুলের এক আদালতের মধ্যে তাঁকে পণবন্দি করা হয়। টেলিভিশনে দেখা গিয়েছে, কিরাজের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রাখা আছে। তাঁর হাত বেঁধে রাখা হয়েছে।
ইলভান-এর হত্যার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ অফিসার প্রকাশ্যে দোষ স্বীকার করলেই কিরাজের মুক্তি মিলবে বলে ঘোষণা করেছে সশস্ত্র দলটি। তাদের দাবি, সরকারি বিচারালয়ে নয়, অভিযুক্ত অফিসারের বিচার জনতার দরবারে করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, ইলভান-এর মৃত্যুর পরে প্রতিবাদী আন্দোলনে যোগ দিয়ে যাঁরা পদ খুইয়েছেন তাঁদের স্বপদে বহাল করারও দাবি উঠেছে। পাশাপাশি,পণবন্দি ঘটনায় জড়িতদের নিঃশর্তে ছেড়ে দিতে হবে বলে দাবি সশস্ত্র দলের। ইলভান-এর পরিবারের জানিয়েছে, তাঁরা আইনজীবীর কোনও ক্ষতি চান না।