প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছনোর আগেই ফের একবার জঙ্গি হামলায় অশান্ত হয়ে উঠল জম্মুর আর্নিয়া। সেনা সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোর থেকেই আর্নিয়ার ভারত-পাক সীমান্তের কাছে গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেন নিরাপত্তারক্ষীরাও। বৃহস্পতিবার এখানেই সেনা-বিএসএফ যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় চার জঙ্গি-সহ ১০ জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তিন জন সেনা জওয়ান। বৃহস্পতিবারের হামলার পর এ দিন সেখানেই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন সেনারা। চলছিল গতকালের হামলায় নিহতদের দেহ উদ্ধারের কাজও। তখনই জঙ্গিরা গুলি ছুড়তে শুরু করে বলে সেনা সূত্রে খবর।
ঠিক কী ঘটে এ দিন?
সেনা সূত্রে খবর, জঙ্গি হামলার পর বৃহস্পতিবারই এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করে সেনা, বিএসএফ ও বিশাল পুলিশবাহিনী। জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার আশঙ্কায় তল্লাশি চলছিল সেনা পরিত্যক্ত বাঙ্কারগুলিতে। বৃহস্পতিবার সীমান্তে হামলা চালানোর পর জঙ্গিরা এই বাঙ্কারগুলিতেই আত্মগোপন করেছিল। সেনাদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এখানেই মৃত্যু হয় চার জঙ্গির। এক সেনা আধিকারিকের কথায়, এক জঙ্গির লুকিয়ে থাকার আশঙ্কায় এ দিন ফের তল্লাশি শুরু হয়। সেই সঙ্গে হামলায় নিহত গ্রামবাসীদের দেহ উদ্ধারের কাজও চলছিল। তিন জনের দেহ উদ্ধারের কাজ তখনও বাকি ছিল। সেই সময়ই বাঙ্কারের ভিতর থেকে সেনাদের লক্ষ করে গুলিবর্ষণ শুরু হয়।
ভোট প্রচারে এ দিনই জম্মু পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর্নিয়া থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে উধমপুর ও পুঞ্চে তাঁর সভা করার কথা। আগামী ২ ডিসেম্বর জম্মুতে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেই পর পর দু’দিনের এই হামলা নির্বাচনকে বানচাল করারই চক্রান্ত বলে মনে করছেন সেনাবাহিনীর একাংশ। এই হামলার পিছনে পাক সীমান্ত রক্ষিবাহিনীরও মদত রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
পর পর দু’দিনের এই হামলার পর কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা উধমপুর এলাকা। মিছিল যাওয়ার সব রাস্তায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে চেক পোস্ট। উধমপুর লাগোয়া বাত্তাল বালিয়াতেও রয়েছে কড়া নজরদারি। এখান থেকেই এ দিন ভোট প্রচার শুরু করেন মোদী।