সিনেমার একটি দৃশ্যে সুস্মিতার সঙ্গে যিশু সেনগুপ্ত।
নিজের শর্তে বেঁচে থাকার পাসওয়ার্ড তাঁর হাতের মুঠোয়। সিঙ্গল মাদারের সংজ্ঞা নোয়াপাতি ভুঁড়ির বাঙালি জাতিকে নতুন করে পড়তে শিখিয়েছেন তিনি। তবে সিনে পর্দায় বঙ্গবাসীকে ছোঁয়া হয়ে ওঠেনি এত দিন। এ বার রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে সে সুযোগও এল পাঁচ ফুট ন’ইঞ্চির বাঙালি কন্যের কেরিয়ারে। তিনি সুস্মিতা সেন। শুক্রবার মুক্তি পেল সুস্মিতা সেন অভিনীত প্রথম বাংলা ছবি ‘নির্বাক’। অনুরাগীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বলিউডের ‘সুস’ এলেন টলিউড কাঁপাতে।
চল্লিশ ছুঁই ছুঁই সুন্দরীর বাংলা উচ্চারণ নিয়ে হয়ত অনেকের মনে খানিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। সে প্রসঙ্গে পরিচালকের সাফ জবাব, সুস্মিতার বাংলা উচ্চারণ অনেক বাঙালির থেকেও ভাল। এই ছবিতে একটি নামহীন চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। চারটে আলাদা গল্পের যোগসূত্র এই চরিত্র। ইউরোপের এক মিউজিয়ামে সালভাদর ডালির একটি পেন্টিং দেখে ‘নির্বাক’ তৈরির কথা মাথায় আসে পরিচালকের। ছবিতে সুস্মিতা সেনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছেন যিশু সেনগুপ্ত, হৃত্বিক চক্রবর্তী এবং অঞ্জন দত্ত।
১৯৯৪-এ বিশ্ব দরবারে প্রথম ভারতীয় সুন্দরীর খেতাব পেয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। তবে বঙ্গ ললনার বাংলার সঙ্গে যোগসূত্র এতদিন ছিল কেবল পরিবারের জন্যই। তাঁর জন্ম, বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা, এমনকী কর্মজীবন-সবই বাংলার মাটি থেকে অনেক দূরে। ‘নির্বাক’ দিয়েই ফের বাঙালিয়ানার অন্দরে আসনপিঁড়ি হয়ে বসলেন সুস্মিতা।